নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  কলাপাড়ায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগে
ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ
পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের
পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আহসান হাবীব
বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের তিনটি শুন্য পদের নিয়োগে অবৈধ লেনদেনসহ অনিয়মের
বিরুদ্ধে কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার আদালত মামলাটি গ্রহণ করে অভিযুক্ত নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে কেন
নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস
সহায়ক, আয়া ও পরিছন্ন কর্মী না থাকায় সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায়
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে উক্ত তিনটি শুন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
দেয়া হয়। তিনটি পদের জন্য মোট ৩৯ জন প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়মানুযায়ী
বিদ্যালয়ের সভাপতি বশির আহাম্মেদকে নিয়োগ বোর্ডের প্রধান করে ৫ সদস্যের
একটি কমিটি গঠন করা হয়। অত:পর ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ নিয়োগ পরিক্ষার দিন
ধার্য করা হয়।

বাদীর অভিযোগ মতে, নিয়োগ বোর্ডের প্রধান বশির আহাম্মেদ ও সদস্য সচিব অত্র
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাম হোসেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের
পছন্দের তিনজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা
এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে উক্ত প্রার্থীর স্বামীর নিকট হতে ৪
লক্ষ টাকা নেয়। পরে অন্য প্রার্থীর কাছ থেকে ওই একই পদের জন্য ৫ লক্ষ
টাকা পেয়ে পূর্বের প্রার্থীর টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ফেরত দেন বলে অভিযোগে
জানা যায়।

অবৈধ টাকা লেনদেনের এ বিষয়টি সকলের কাছে ফাঁস হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা
বিদ্যালয়ের রেজুলেশন বইতে আলোচ্য বিষয় না লিখে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য
সদস্যদের স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করছে। বাদী আহসান হাবীব মজনু তাদের এ হীন
কাজের প্রতিবাদ, অনিয়ম ও অবৈধ লেনদেনের কারনে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ ও
পরবর্তীতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ নেয়ার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা
করেন।

পূর্ব মধূখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য
সচিব মো. আলাম হোসেন বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি।

পূর্ব মধূখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের প্রধান মো.
বশির আহম্মেদ বলেন, আমি একটা ট্রেনিংয়ের জন্য কয়েকদিন ধরে বরিশাল আছি।
আদালতে একটি মামলা হয়েছে শুনেছি।

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান জানান,
মামলার একটি কপি পেয়েছি। শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে
শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত এব্যাপারে  কোন লিখিত কাগজ পাইনি।