কলাপাড়ায় মালচিং পদ্ধতিতে সব্জি চাষ করে স্বাবলম্বী ও সফল কৃষক জাকির ॥

প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ
কলাপাড়ায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নে গ্রীন হাউস এবং মালচিং পদ্ধতিতে সব্জি চাষ করে
এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন কৃষক জাকির হোসেন, রয়েছে জাকিরের নানাবিধ স্বপ্ন।
সবজিখ্যাত কুমিরমারা গ্রামে মাঠজুড়ে তাঁর এই কর্মযজ্ঞ সবার নজর কেড়েছে।
সফল এ সব্জি চাষী জাকির সব্জি চাষ করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ও
অর্থনৈতিক মুক্তি এনেছে। জাকিরের স্বপ্ন এলাকার বেকার যুবকদের কর্মমুখী
করতে তাদেরকেও সব্জি চাষে আগ্রহী করে তোলা। সব্জি চাষ করে সফল হতে
জাকিরের দেখানো গ্রীন হাউস ও মালচিং পদ্ধতির সব্জি চাষে সফলতা দেখে
আশেপাশের চাষিরা আগ্রহী হচ্ছে সব্জি চাষে।

গ্রীন হাউস ও মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে
এখানকার কৃষকরা। দেশ বিদেশী বিভিন্ন উন্নতশীল বীজ সংগ্রহ করে এলাকায়
মালচিং পদ্ধতিতে রোপন করে সফলতার ছোয়া পেয়েছেন কৃষকরা। জাকিরের সফলতা
দেখে কুমিরমারা গ্রামের বেশ কিছু কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করেন।
চলতি মৌসুমে সবজি ক্ষেতে মালচিং পদ্ধতিতে লাউ, শসা, করোলা, বোম্বে মরিচ,
পেপে, কাঁচা মরিচ, লাফা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, টমেটো সহ নানা প্রজাতীর
সবজি চাষ করেছেন জাকির হোসেনসহ অনেক কৃষক। বর্ষা মৌসুমে বাহারি রঙের
তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন জাকির।
জাকিরের তরমুচ চাষে সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরা এই বর্ষা মৌসুমে বাহারি
রঙের তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

স্থানীয় সবজি চাষি জালাল সিকদার এ পতিনিধিকে বলেন, আমাদের কৃষি পন্য
কলাপাড়াসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয় তাই বাজার জাত করার জন্য
যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকার কারনে সবজির ন্যায্যো মূল্য পাইনা,
সরকারি ভাবে আমরা আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরও ব্যাপক হারে সবজি চাষ করতে
পারবো।
সফল সবজি চাষী জাকির এ প্রতিবেদককে জানায়, আমি এক সময় রাজমিস্ত্রী ছিলাম।
সেখান থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কৃষি কাজ করি। লেখাপড়া করে চাকরীর জন্য
না ঘুরে নিজের কর্ম নিজে করে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দূর
করা। তার চিন্তাধারা সমাজের বেকার যুবসমাজকে কৃষির আওতায় অর্ন্তভূুক্ত
করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সফল এই সব্জি চাষীর রয়েছে সব্জি
চাষের নানা অভিজ্ঞতা। এবছর তিনি ৬ বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষে
পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করে। এলাকায় আধুনিক কৃষি সৃষ্টি করে
স্থানীয় কৃষকদের আধুনিক ভাবে কৃষিকাজ করার জন্য উৎসাহ দেয়। কোন প্রাকৃতিক
দূর্যোগ না হলে অনেক ভাল ফসলের আশা করেন তিনি।

এবিষয় কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ গনমাধ্যমকে
জানায়, শুধু কুমিরমারা নয়, কলাপাড়ার সকল ইউনিয়নে আমরা কৃষকদের আধুনিক
ট্রেনিং দিয়ে সব্জি চাষে উদ্ভুদ্ধ করবো।




error: Content is protected !!