কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি;
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক ভ্যানচালককে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছে ফাইজুর রহমান চুন্নু নামের এক পৌর কাউন্সিলর। কাউন্সিলরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে সিমেন্ট না কেনায় শুক্রবার বিকালে কাঠের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করে। বর্তমানে সে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভ্যান চালকের নাম সনাতন দাস। সে কালীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাটপাড়া গ্রামের হরিপদ দাসের ছেলে।
ভ্যান চালক সনাতন দাস জানায়, শুক্রবার সকালে আমার জামায় ২০ বস্তা সিমেন্ট কেনার জন্য আমাকে কালীগঞ্জ বাজারে পাঠায়। এছাড়া ফাইজুর রহমান চুন্নুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান শিশির কনা এন্টারপ্রাইজ নামে ওই সিমেন্টের দোকানে ২০ হাজার টাকা বকেয়া পরিশোধ করে দিতে বলে। আমি সে ভাবেই কাউন্সিলরের দোকানে টাকা পরিশোধ করে অন্য একটি দোকান থেকে সিমেন্ট কিনে বাড়ি ফিরি। সন্ধ্যায় আবার বাজারে গেলে চুন্নু আমাকে ডেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনের গোডাউনে নিয়ে কাঠের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে।
এরপর আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাইরে বের করে চলে যেতে বলে। সনাতন দাসের বড় বোন লক্ষ্মী রানী জানান, আমার ভাইকে বিনা কারণে পিটিয়েছে। এভাবে মানুষ মানুষকে মারতে পারে না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল অধিকারী জানান, আমি এখনো পর্যন্ত বিষয়টি পরিষ্কার জানি না। তবে বিনা অপরাধে যদি মারপিট করে থাকে তবে অবশ্যই বিষয়টি নিন্দনীয়। কাউন্সিলর ফাইজুর রহমান চুন্নু বলেন, আমার বান্ধবীর ভাই সনাতন দাস। তাকে আমি শাসন করেছি। দোকানের পেছনে একটি ডাল দিয়ে ২/৩টি ছোট করে বাড়ি দিয়েছি। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।