রুহুল আমিন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এতে আমনের জমি একের পর এক ভাসছে এবং চাষাবাদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষক। তবে বন্যায় অধিকাংশ বীজতলা ডুবে গিয়ে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে আমন ধানের চারার সংকট। এলাকার কৃষকরা আমনের চারা পেতে এখন দিশেহারা হয়ে ঘুরছেন।
জেলার দল নিকলী, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সদরসহ আরও কয়েকটি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলমান বন্যায় এলাকার অধিকাংশ কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমন ধানের চারার জন্য কৃষক এখন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন। জমি চাষাবাদ প্রস্তুতি শুরু করলেও আমনের চারা নিয়ে নতুন চিন্তায় পড়েছেন তারা। কেউ কেউ ভাবছেন এ বছর আমনের চারার জন্য তাদের জমি পতিত থাকবে।নিকলী উপজেলার মদলিশপুর গ্রামের কৃষক মিজান মিয়া জানান, এবারের বন্যা এত দীর্ঘমেয়াদি হবে তিনি ভাবতে পারেননি। তার ছয় বিঘা জমির আমন বীজতলা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন জমি পানির নিচ থেকে ভাসলেও চারার অভাবে আমন লাগাতে পারবেন না বলে চরম হতাশায় ভুগছেন তিনি।কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল আলম বলেন, জেলার কৃষকরা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে এবং কৃষকরা তাদের জমিতে আমন লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।আমরা আমনের চারা অন্য কোথাও থেকে হলেও এনে দিতে চেষ্টা করছি। কৃষকদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।