রুহুল আমিন,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের হাওর বেষ্টিত অঞ্চলে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রশাসন। হাওরে প্রবেশের সমস্ত প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর বেষ্টিত উপজেলা ইটনা,মিঠামইন,অষ্টগ্ৰাম,নিকলী, বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এইসব এলাকায় পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও এইসব এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
জানা যায়, চলছে বর্ষাকাল। বর্ষার পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে হাওর বেষ্টিত অঞ্চল। যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এক অপরূপ দৃশ্য। সেই দৃশ্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে আসতে থাকে ভ্রমণ পিপাসুরা। দেশে চলমান করোনা ভাইরাস মহামারী কে উপেক্ষা করেও ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নেমেছিল হাওর অঞ্চলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান করেও থামিয়ে রাখা যাচ্ছিল না ভ্রমণ পিপাসুদের। ইতিমধ্যে দুই দিনে ২ পর্যটক পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন ও ১ জন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়াও আরো ১০ জন পর্যটক হাওরের মাঝখানে নৌকা বিকল হওয়ায় ৯৯৯ কল করে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এতেই নড়ে চড়ে বসে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই সব দুর্ঘটনা থেকে পর্যটকদের রক্ষা করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটকদের হাওরে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। হাওরে প্রবেশের সমস্ত প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে হাওরে প্রবেশ না করতে ও হাওরে নৌকা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসলীমা নূর হোসেনের নেতৃত্বে বালিখোলা ঘাট হইতে নৌকা ভ্রমণ সহ মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রাম, নিকলী এলাকায় পর্যটকদের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার রৌহা, নিয়ামতপুর চৌরাস্তায় জনসচেতনতা মুলক প্রচারনা এবং হাওরগামী পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করে ফিরেয়ে দেন করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমনের নেতৃত্বে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাওরে পর্যটকদের ভ্রমণ স্তগিত থাকবে। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।