কিশোরগঞ্জে জুলাই মাসে ৬ খুন

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২০

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস নামক অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণে দিশেহারা তখনো থেমে নেই কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ সহ হত্যাযজ্ঞ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে এই সব খুন। জেলায় শুধু জুলাই মাসেই খুন হয়েছে ৬ জন। এই সব খুনের নেপথ্যে রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের, পারিবারিক কলহের জের, পূর্ব শত্রুতার জের সহ বিভিন্ন কারণ। ৬ খুনের মধ্যে রয়েছে ভৈরবে ২, বাজিতপুরে ১, হোসেন পুরে ১, পাকুন্দিয়ায় ১ ও কটিয়াদী তে ১ জন।

হোসেনপুর: ৫ জুলাই জেলার হোসেন পুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের গলাচিপা এলাকায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে ৫ বছরের শিশু কন্যা নূরে আনিতা আজাদ খুন হয়। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে নানাদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নির্মমভাবে খুন করা হয় নূরে আনিতা আজাদ কে। সে বীরপাইশকা এলাকার আলমগীরের মেয়ে।

বাজিতপুর: ৭ জুলাই বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের রস্তমপুর এলাকার নিলু মিয়ার ছেলে ইজিবাইক চালক রাব্বী (১৮) নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন। এরপর ১৪ জুলাই রাব্বীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ভৈরব: ১৪ জুলাই ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (৩২) নিখোঁজের দু’দিন পর কালিনদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ভৈরব বাজারের জুতা ব্যবসায়ী ছিলেন।

এরপর দিন ১৫ জুলাই ভৈরবের পঞ্চবটি শশ্বানঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের হাত পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পাকুন্দিয়া: ২১ জুলাই পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের দগদগা এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী মাহফুজা খাতুন (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী আবুবকর সিদ্দিক। বিদেশ থেকে দেশে ফিরে দুই দিনের মাথায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় স্বামী। ঘটনার পরপর ঘাতক স্বামী আবুবকর সিদ্দিক পালিয়ে যায়। এরপর দিন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

কটিয়াদী: ২৫ জুলাই কটিয়াদী উপজেলার চাঁন্দপুর ইউনিয়নের ভাংনাদি নয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাজী আহাদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবুল (৬৫) নাতির হাতে নিহত হন। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে নাতির হাতে নির্মমভাবে খুন হয় নানা সাইফুল ইসলাম বাবুল।




error: Content is protected !!