কুষ্টিয়ায় রাতের আঁধারে রেলওয়ের পুকুর ভরাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১, ২০২৩
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি দিয়ে রাতের আধারে রেলওয়ের পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে ভেড়ামারা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশন এলাকাধীন রেলের পুকুর ভরাট করে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ভেড়ামারা রেলওয়ে কর্মকর্তা ভেড়ামারা পৌর চেয়ারম্যান সহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিভিন্ন দপ্তরে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌরসভার মেয়র।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশন এলাকাধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন ও রেকর্ডীয় ভূমির পুকুরে ভেড়ামারা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ট্রাক দিয়ে মাটি ও বালু ভরাট করছেন। ভেড়ামারা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে মাটি ও বালু দিয়ে পুকুর ভরাট না করার জন্য নিষেধ করা হয়। কিন্তু ভেড়ামারা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নিজেদের খেয়াল খুশি মতো মাটি ভরাটের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। পুকুরটি ভেড়ামারা কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটি কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণ পূর্বক মাছ চাষ করছে এবং বর্তমানে তাদের মাছ পুকুরে রয়েছে। ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা এবং বাজারের আশেপাশে আর কোন পুকুর বা জলাশয় নেই। ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় কোন ধরণের অগ্নিকান্ড ঘটলে উক্ত পুকুরটি পানি ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে পরিবেশ আইন অনুযায়ী পুকুর ভরাটে বাধা রয়েছে। ভেড়ামার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি না নিয়ে, কোন ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে পুকুর ভরাটের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। জলাধার সংরক্ষণ আইন মতে কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ারুল কবির টুটুল বলেন, এক শ্রেণির দালাল চক্র তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পৌরসভার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রেলওয়ের পুকুর ভরাটের সাথে সম্পৃক্ত নাই। রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা, প্রতিপক্ষের লোকজন ও রেলওয়ের জায়গার দখলবাজরা মিথ্যাচার করছে।



error: Content is protected !!