কুষ্টিয়া জজ কোর্ট চত্বরে নারী নির্যাতন মামলা প্রত্যাহার না করায় বাদী পক্ষের ওপর হামলা
কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া জজ কোর্ট চত্বরে নারী নির্যাতন মামলা প্রত্যাহার না করায় বাদী পক্ষের ওপর হামলা হয়। খাদিজা আক্তার লাবনী মোঃ হেলাল উদ্দিন ও নাসিমা আক্তার এর উপর এই হামলা হয়। এই ঘটনা ঘটে আজ ১২/১১/২০২০ সময। ১১.৩০ AM বাদী খাদিজা আক্তার লাবনী (২০) পিতা মোঃ হেলাল উদ্দিন সাং হোগলা, পোস্ট বালিয়াকান্দি থানা, কুমারখালী জেলা কুষ্টিয়া। আজ তারা কুষ্টিয়া বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়মিত দিন ছিল। বাদীপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। তাদেরকে এ মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। বাদীপক্ষ নিযুক্ত আইনজীবী এর চেম্বার হইতে বাহির হইয়া কোর্ট এ যাওয়ার উদ্দেশ্যে জামাল এর চার দোকানের সামনে পৌঁছালে আসামি মোঃ আনিসুজ্জামান মুসা, তার পিতা- মোতালেব মোল্লা ও তার গুন্ডা বাহিনী মিলে তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মামলার বাদী খাদিজা আক্তার লাবনীর পিতা হেলাল উদ্দিন, খাদিজা আক্তার লাবনী নিজে এবং নাসিমা আক্তার কে গুরুতর আহত করে। ভিকটিম খাদিজা আক্তার লাবনী পিতা বর্তমানে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হইয়া এখন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যান্য আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে অবস্থান করতেছি। ঘটনা সুত্রে জানা যায় ২৪/০৮/২০১৮ মোঃ আনিসুজ্জামান মুসা এর সাথে খাদিজা আক্তার লাবনীর বিবাহ হয়। আনিসুজ্জামান মুসা যৌতুকের ২ লক্ষ টাকার জন্য স্ত্রীর উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে স্ত্রী কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে, ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইন এর ৩ ধারা মতে কুমারখালী সি আর-২৯/২০২০ যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। এই মামলা কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে এমনকি খাদিজা আক্তার লাবনী দুইটা ফেক ফেসবুক আইডি আনিসুজ্জামান মুসা পরিচালনা করিতেছে এবং বিভিন্ন প্রকার অশ্লীল ছবি ভিডিও প্রদর্শন করছে। ঘটনার সূত্রে আরো জানা যায় আসামি আনিসুজ্জামান একজন মাদকসেবক এবং বর্তমানে বি আর বি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষের কাছে অপপ্রচার চালাচ্ছে । বাদীপক্ষ আসামিগনের এই নির্যাতনের ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।