কুষ্টিয়ায় অর্ধশত প্লাষ্টিক কারখানার বর্জ্যে হুমকির মুখে জীববৈচিত্র

প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০

কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠেছে নামে বেনামে প্রায় অর্ধশত প্লাষ্টিক কারখানা। এগুলোর অধিকাংশেরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। আবার সেগুলোর ছাড়পত্র রয়েছে তাও নামমাত্র। মানা হয় না কোন বিধি, নেই কোনো নিজস্ব বিষাক্ত পানি ও বর্জ্যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা। প্লাষ্টিক কারখানাগুলোর বিষাক্ত পানি ও বর্জ্যে হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র। ভারসাম্য হারাচ্ছে এলাকার পরিবেশের। দেখভালের দায়িত্ব যাদের তাদেরও নেই মাথাব্যথা। ছাড়পত্র দিয়েই দায় শেষ করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। আর যেগুলোর ছাড়পত্র নেই, সেগুলো নিয়ে ভিন্ন কথা।
কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার, মঙ্গলবাড়িয়া, ত্রিমোহনী এলাকাগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এসকল প্লাষ্টিক কারখানা। কারখানাগুলোর প্রতিদিনের নিশ্রিত বিষাক্ত পানি ও বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে সরকারী পানি নিস্কাশনের ক্যানেলে। যার ফলে ইতিমধ্যে এসব এলাকার পশুপাখির মধ্যে দেখাদিচ্ছে নানা রোগবালাই। মৃত্যুও ঘটেছে একাধিক পশুপাখির।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক এলাকাবাসী জানায়, আমাদের এলাকায় নামে বেনামে একাধিক প্লাষ্টিক কারখানা গড়ে উঠেছে। যাদের নিশ্রিত বিষাক্ত পানি ও বর্জ্যে হুমকির মুখে পড়েছে পশুপাখি। ইতিমধ্যে এ সকল কারখানার বিষাক্ত পানি ও বর্জ্যের কারনে আমার পোষা ৬০থেকে ৭০টি হাঁস মারা গেছে এবং ১০-১২টি এখনো অসুস্থ্য রয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রাবণী প্লাষ্টিক ফ্যাক্টরির মালিক আইয়ুব আলী বলেন, আমি পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগে কি না আমার জানা নেই। তবে ফ্যাক্টটির নিশ্রিত পানি ও বজ্রের কারনে হাঁস মারা যাওয়ার বিষয়টি কতটুকু সত্য তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানান, এসকল কারখানা থেকে নিশ্রিত পানি ও বর্জ্য জীব বৈচিত্রের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। এগুলো ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ না করলে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। প্রতিটি কারখানারই নিজস্ব বিষাক্ত পানি ও বর্জ্য সংরক্ষনের ব্যবস্থা থাকা অপরিহার্য। আর এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নিতে হবে দায়িত্বশীল ভূমিকা।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান জানায়, প্লাষ্টিক ফ্যাক্টরির নিশ্রিত বর্জ্য জীব বৈচিত্রের অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সবকিছু বিবেচনা করেই পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আর যেগুলোর পরিবেশের ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে শ্রীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




error: Content is protected !!