কুষ্টিয়ায় বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ জনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ
কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার আসামী যুবলীগ নেতা আনিছ ও সবজু এবং হৃদয়কে ৩ দিন করে পুলিশ রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কুমারখালী আমলী আদালতে আধাঘন্টাব্যাপী শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক সেলিনা খাতুন ৩ দিনের (৭২ ঘন্টা) পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আসামীপক্ষের আইনজীবিরা পুলিশ রিমান্ডের বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে আসামীদের জামিন আবেদন করেন। তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করার পর কঠোর নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থায় আসামীদের জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। এর আগে রিমান্ড শুনানীর জন্য কুষ্টিয়া কারাগার থেকে বেলা ১১টায় আসামীদের আদালতে আনা হয়।
এ ঘটনার পেছনে কোন জঙ্গী বা রাজনৈতিক গোষ্টির মদদ ও অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে গত শনিবার বিকেলে একই আদালতে হাজির করে আসামীদের প্রত্যেকের ৭ দিন করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমারখালী থানার ওসি তদন্ত রাকিবুল হাসান।
১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী বাঘা যতিনের ভাস্কর্যে ভাংচুর হয়। ঘটনার পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ। পরদিন প্রত্যক্ষদর্শির উপর ভিত্তিকরে চারজন আসামী শনাক্ত ও তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাচ্চু নামে অপর আসামী পলাতক রয়েছে। গ্রেফতার কৃত আনিছুর রহমানকে কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে জেলা যুবলীগ।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ^াস সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেন। আর আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ বলেছেন, দায়েরকৃত অভিযোগের সাথে আসামীরা সম্পৃক্ত নয়, এ মামলায় আসামীদের রিমান্ডের প্রয়োজন হয়না।