কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সন্ত্রাসী লিপটন, মামুনের বিচারের দাবীতে ঘেরাও ও মানববন্ধন
কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার যুবলীগ নেতা রাশিদুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন কয়েক হাজার নারী পুরুষ ও জেলা যুবলীগের সকল নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার ৭ জানুয়ারি সকালে ১১ ঘটিকার সময় এ কর্মসূচী পালন করেন এলাকার বিক্ষুব্ধ এলাকবাসি।
রাশিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক। গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভবানীপুর বাজার থেকে একটি ইজিবাইকে করে এসে ৪ জন সাদা পোষাকধারী র্যাব সদস্য তার পকেটে পিস্তল ঢুকিয়ে রাশিদুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ওই দিন রাতেই আবার ভবানীপুর গ্রামে রাশেদুলের বাড়িতে র্যাব এসে অভিযান চালায়।
পরে র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় রাশেদুল ইসলামের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ওই মামলায় রাশিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও, মানববন্ধন ও সমাবেশ করে কয়েক হাজার মানুষ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, আওয়ামী লীগ নেতা একরামূল হক প্রমুখ, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম আরবের।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যুবলীগ নেতা রাশিদুল ইসলাম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। এলাকার আলোচিত র্যাবের সোর্স হিসেবে খ্যাত পুলিশ, এনএসআই সহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত আসামী জাহাঙ্গীর কবির লিপটন ও মামুন অর রশিদ মামুন। তারাই এ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা বলে জানা যায়। কাঞ্চনপুরে বিএনপি-জামায়াতের এক সময়কার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক আনিচুর রহমান ঝন্টু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
ঝন্টুর পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পিচ কমিটির অন্যতম নেতা ছিলেন। এখন চরমপন্থিসহ নানা অবৈধ কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছে ঝন্টু। লিপটন তার আপন বড় ভাইয়ের ভাইরার ছেলে হওয়ায় তাকে কাজে লাগাচ্ছে নিরীহ লোকজনকে ফাঁসাতে। চরমপন্থী সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লিস্টেড আসামি লিপটন ও মামুন তার হয়ে এলাকায় সাধারন মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নেই। তিনি অস্ত্রের রাজনীতিও করেন না। অথচ তাকে আটকের পর র্যাব বলছে তিনি চরমপন্থী নেতা, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও একাধিক জিডি রয়েছে।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের একই কথা যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম কে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক এবং ওই চরমপন্থী সন্ত্রাসী লিপটন ও মামুনকে বিচারের আওতায় আনা হোক।