কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাসের মাংস বাজারে অসুস্থ্য পশু জবাই ও মাংস বিক্রির সংবাদ সংগ্রহের সময় কসায় বাবু ও তার স্ত্রী ঝর্না গংরা বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি ও ক্যামেরা পারসনের উপর হামলা করে। মাংস কাটা ডাসা (ধারালো অস্ত্র) হাতে নিয়ে তেড়ে আসে। ডাসার উল্টোপাশ দিয়ে ক্যামেরা পারসন আমিন হাসানকে আঘাত করে। অন্যরা এলাপাথাড়ি কিল ঘুশি মেরে আহত করে। এসময় তারা ক্যামেরা ভাংচুর করে, এতে ক্যামেরাটি সম্পুর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, নিউজ বন্ধ করতে ক্যামেরার ভেতরে থাকা মেমোরিকার্ড বের করে নেয়।
এরপর বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি ও কুষ্টিয়া ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রিয়াজুল রিয়াজুল ইসলাম সেতুর উপর হামলা করতে শুরু করে। দুই সাংবাদিকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারিরা আমিন হাসানের গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত দুই সংবাদ কর্মীকে উদ্বার করে। আমিন হাসানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা ও থানায় দেয়া অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, অসুস্থ্য গরু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে চৌড়হাস বাজারে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিষয়টির উপর সংবাদ সংগ্রহে যায় দুই সাংবাদিক। এসময় তারা অসুস্থ্য গুরু দেখতে পায় এবং তার ভিডিও ধারণ করে। বাবু কসায় ও তার স্ত্রী বিষয়টির বাধা দেয়। তারা এই সংবাদ প্রকাশে নিষেধ করে। একপর্যায়ে অসুস্থ্য পশুর মাংস বিক্রির ভিডিও ধারণ করলে বাবু কসাই, তার স্ত্রী ও অন্য সহযোগীরা এসে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়।
হামলার ঘটনার শিকার বিজয় টিভি’র ক্যামেরাপারসন আমিন হাসান বলেন, অসুস্থ্য গরু জবাই করে সাধারণ মানুষের কাছে তা বিক্রি করছে এ সংক্রান্ত ভিডিও ধারণ করছিলাম। হঠাৎ করেই বাবু কসাই ও তার সঙ্গীয়রা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের ক্যামেরা ভাঙচুর করে। আমাদের এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে।
পরে সেখানকার জনতা এগিয়ে আসলে তারা পিছু হাটে। স্থানীয়রাই আমাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান এবং ঘটনার বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয় কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, এটা একটি ন্যাকারজনক ঘটনা ও সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।