কুষ্টিয়ায় ৭দিনের লকডাউন চলছে : বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ!

প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২১

কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

করোনা ভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শুক্রবার মধ্য রাত থেকে চলছে ৭দিনের কঠোর লকডাউন।বন্ধ রয়েছে শহরের সব শপিংমল ও দোকান পাট। বিপাকে পড়েছে দিন মজুর ও সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ। চলমান করোনা মহামারিতে দেশের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে চলছে লকডাউন কার্যক্রম ।

৭টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় লকডাউনের সুপারিশ করেন যার মধ্যে ছিল কুষ্টিয়া শহরও । কুষ্টিয়া জেলায় ক্রমাগত করোনা ভাইরাসের আক্রন্তের হার ও মৃত্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে গতকাল ১২ জুন মধ্যরাত থেকে আগামী ১৯ই জুন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। যা কুষ্টিয়া পৌরসভা এলাকার আওতাযুক্ত।

গত ১১ জুন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় করোনার প্রকোপতা বৃদ্ধির কারনে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১১ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এসময় পৌর এলাকার দোকানপাট, শপিংমল সহ সবধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজণীয় ও বাজারঘাট খোলা সকাল ৮ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে পৌর এলাকায় কোন ধরনের যানচলাচল করবে না। অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ও গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধ এর বাইরে থাকবে। এছাড়াও পূর্বের ন্যায় শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। জেলা প্রশাসনের সাথে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কুষ্টিয়া পৌরএলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ এর সিদ্ধান্ত হয়।

অন্যদিকে চলমান বিধি নিষেধ চলতে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার সাধারন মানুষ। রবিবার সকাল থেকে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান মোবাইল টিমকে ব্যাপক ততপর ও কঠোর অবস্থানে তাদের ভূমিকা পালন করতে দেথা যায়। শহরের মূল মূল পয়েন্টগুলোতে বসানে হয়েছে চেকপোস্ট ।

শহরের ভিতরে জরুরি ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না যানবাহন। এতে করে জেলার অধিকাংশ মানুষের জীবিকার সাথে জড়িত জেলার পৌর এলাকায় প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শহরমুখী হতে পারছে না দিনমুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ! এতে শুধু পৌর এলাকায় লকডাউন কার্যকর করলেও তার প্রভাব পরছে পুরো জেলাতে। এমতাবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের চাওয়া লকডাউনে আমরা ঘরে থাকবো কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান খাবার আগে পৌছে দিন নতুবা আমাদের কর্মস্থলে যাওয়ার ব্যাবস্থা করুন।




error: Content is protected !!