কুয়াকাটা সৈকতে ঈদুলআযহা উপলক্ষে দেশী-বিদেশী হাজারো পযটর্কের আনাগোনা॥

প্রকাশিত: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২০

রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কুয়াকাটায় সূযোদয়-সূযার্স্তের মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনসহ সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর উম্মাদনা
ভ্রমণের নতুন এক অনুভূতি। করোনা ভাইরাসের ভয়কে জয় করে পবিত্র ঈদুলআযহার দীর্ঘ ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে দেশী-বিদেশী হাজারো পযটকদের ভীড়ে কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পর আবারো উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ঈদুলআযহায় কুয়াকাটায় বিশেষভাবে সৈকতে বেড়াতে এসেছে পযটক সোমালিয়া থেকে । আগত পযটকরা জানান,ঈদের আনন্দ উপভোগ করতেই তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। এখানকার সৌন্দর্য তাদের
মুগ্ধ করেছে। কুয়াকাটা এমন একটি সমুদ্র সৈকত যেখানে বার বার আসতে ইচ্ছা করবে অবসর পেলেই এমনটাই অভিমত পযটকদের।

সরেজমিনে সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, আগত পযচকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে নেচে গেয়ে সমুদ্রে গোসল, হৈ হুল্লোড়, খেলাধুলা আনন্দের সীমা নেই
পযটকদের মাঝে। কুয়াকাটার লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর,মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার,রাখাইনদের তাতঁ পল্লী,আলীপুর-মহিপুর মৎস্বন্দরসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে
পযটকদের আনাগোনা দেখা গেছে। রাতে সৈকতে জোসনার আলোয় সমুদ্রের ঢেউ আর ঢেউয়ের গজন আর এক অন্যরকম অনুভূতি মন ছুয়ে যায়। এছাড়া রাতে সৈকতের কোলঘেঁষে অবস্থিত মুখরোচক খাবার কাকড়াফ্রাইসহ বিভিন্ন প্রকার সমুদ্রের মাছ ফ্রাই খাওয়ার স্বাদই আলাদা। এমন মুখরোচক স্বাদ পযটকদের বার বার কুয়াকাটার কথা স্মরণ করিয়ে দেবে বলে মনে করেন ভ্রমণ পিপাসুরা।

সৈকতে বেড়াতে আসা পযটক এক দম্পত্তি বলেন, নিজের দেশকে ঘুরে দেখার সূযোগ পেয়েছেন এই ঈদে। কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এখানকার মানুষজন তাদের খুবই ভালো লেগেছে। কুয়াকাটার প্রেমে পরে গেছেন তারা দুজন। তাই তারা বারবার কুয়াকাটা এসেছেন। তারা আরো বলেন, বিশ্বের অন্যতম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। পযটননগরী হিসেবে কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের সড়ক ও নদী পথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে, বাড়ছে কুয়াকাটা পযটনের সক্ষমতা, বাড়ছে এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কুয়াকাটাকে ঘিরে সূদুর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পণা গ্রহণ করেছে সরকার। তবে এখানকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা
এখনও অনুন্নত থাকায় এখানকার দশর্নীয় স্পটগুলো দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পযটকরা। খুলনা থেকে আসা আরেক পযটক বলেন, কুয়াকাটার হোটেলগুলো
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। দুই বছর পূর্বে একবার এসেছিলাম তখনকার চেয়ে এখনকার পরিবেশ অনেকটা সন্তোষজনক।

উল্লেখ্য, এবছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকশুন্য হয়ে পরেছিলো। ১ জুলাই পযর্টনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আনুষ্টানিকভাবে খুলে দেয়ার পর ঈদুলআযহায় পর্যটকদের ভীড় বাড়তে শুরু করে। ঈদের প্রথম দিন থেকেই কুয়াকাটায় শতশত পর্যটক আসতে শুরু করে। আবাসিক হোটেলগুলো মোটামুটি বুকিং হয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যটন ব্যবসা বন্ধ থাকার পর ঈদুলআযহায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক এসেছে। অনেক পযর্টকরাই অগ্রিম হোটেল বুকিং দিচ্ছেন। এভাবে পযর্টকদের আসা অব্যাহত থাকলে মন্দাভাব কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটার প্রত্যকটি হোটেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। তাই এখানে করোনার ভয় কম।




error: Content is protected !!