কে এই মেজর সিনহা মো. রাশেদ?

প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২

উমার রাযী, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি –
দেশজুড়ে আলোচিত নাম মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। মামলার অভিযোগপত্র ও পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, সিনহা মো. রাশেদ খানের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামে। তাঁর বাবা এরশাদ খান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সর্বশেষ তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সিনহা ছিলেন মেজো।

অভিযোগপত্রের ১২ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের ২৬ জুলাই চট্টগ্রামের রাঙামাটিতে জন্মগ্রহণ করেন সিনহা মো. রাশেদ খান। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় পড়াশোনা করতে হয়েছে তাঁকে। পরে ১৯৯৯ সালে রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং ২০০১ সালে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন। ২০০৩ সালের ২১ জানুয়ারি ৫১তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন সিনহা। ২০০৪ সালের ২২ ডিসেম্বর সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে কমিশনপ্রাপ্ত হন তিনি।

মেধাবী এ সেনা কর্মকর্তার শিক্ষাজীবন ও প্রশিক্ষণ সম্পর্কে অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সিনহা মো. রাশেদ ২০০৪ সালে প্রথম শ্রেণিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি লাভ করেন। চাকরিজীবনে তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীন যোদ্ধা (আন্ত-ইউনিট সঙ্গীন যুদ্ধ প্রতিযোগিতা ২০০৭), আন্ত-ইউনিট বেয়নেট ফাইটিং প্রতিযোগিতা ২০০৭-এর শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী ছিলেন। তিনি ক্যাপ্টেন পদে ২০০৯ সালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেস প্রটেকশন কোর্স-৫০ সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভিআইপি প্রটেকশন কোর্স’ সম্পন্ন করেন।

সিনহা মো. রাশেদ খান ২০০৯ সালের ৪ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্য হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আইভোরি কোস্টে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্‌স (এসআইঅ্যান্ডটি) থেকে বিপিসি-১৯ কোর্স শেষ করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার, সাভার থেকে ‘সিভিল-মিলিটারি রিলেশন অ্যান্ড গুড গভর্ন্যান্স সার্টিফিকেট’ অর্জন করেন। ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে ‘ওয়ার্কশপ অব ডিজাস্টার অ্যান্ড হিউম্যান সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট’ সার্টিফিকেট অর্জন করেন। পরবর্তীকালে ২০১৬ সালে ডিএসসিএসসি থেকে ‘মাস্টার অব সায়েন্স ইন মিলিটারি স্টাডি’ এবং ১২ এপ্রিল ২০১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সাল (২০১৫-২০১৬) পর্যন্ত ‘পিএসসি’ কোর্স সফলতার সঙ্গে শেষ করেন। ২০১৯ সালে তিনি মেজর পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। চাকরিজীবনে তিনি রামু সেনানিবাস, টেকনাফ বিজিবি ও ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন।




error: Content is protected !!