নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নন্দীগ্রামের রাজনীতির
মাঠ। শক্ত অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি। রাজনৈতিক সংঘর্ষে ৩ জন
আহত ও ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ
মোতায়েন করে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট)
দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলার পোতা ও মাঝগ্রাম এলাকায় ওই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশহিসেবে বুধবার বিকেল ৩টায় মনসুর
হোসেন ডিগ্রী কলেজ মাঠে সমাবেশ আহবান করে নন্দীগ্রাম উপজেলা
বিএনপি। অপরদিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে একই সময়ে উপজেলা ও পৌর
জাতীয় শ্রমিক লীগ শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে শোক সভার আয়োজন করে। দুইদলের
সমাবেশকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ
করছিলো। দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়।
দুপুর ২টার পর ছাত্রলীগের একটি মিছিল মাঝগ্রাম হয়ে আসার সময় বিএনপির
নেতাকর্মীরা পিছন থেকে বুড়ইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু
রায়হানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ
নেতাকর্মীরা পোতা ও মাঝগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে শুরু হয়
সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী ও
বুড়ইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন গুরুতর আহত হয়।
সেসময় ৪টি মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি
আলাউদ্দিন সরকার বলেন, আমাদের আহত দুইজনের আবস্থা আশঙ্কাজনক। উপজেলা
ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন আহমেদ বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের শোক সভায়
আসার সময় ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে যখম করেছে বিএনপির
নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সভা করেছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুইদলের কর্মসূচির কারণে
সকাল থেকেই পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকে। দুপুরের পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।