কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন কুমার মজুমদার গত ২০ মার্চ কুষ্টিয়াতে ঝটিকা অভিযানে এলেন এবং চলেও গেলেন। চালের মূল্য সেই তিমিরেই রয়ে গেলো। মন্ত্রীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে মিল মালিকরাও রাখেনি। রোজা শুরু আগেই কুষ্টিয়ায় চালের বাজারসহ নিত্য পণ্যের বাজারে আগুন লেগেছে তা চলছেই, ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে চাউলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ২০ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী সাধন কুমার মজুমদার যশোর থেকে সরাসরি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজা নগরের ফ্রেশ অ্যাগ্রো, রশিদ অ্যাগ্রো ও দেশ অ্যাগ্রো রাইস মিলে ঝটিকা অভিযান করেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন। পরে মন্ত্রী দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিকদের সাথে ‘অবৈধ মজুতদারী রোধে করণীয় ও বাজার তদারকি’ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। উক্ত সভা কক্ষেই খাদ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসককে দেশ অ্যাগ্রো রাইস মিলে এখনই ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি অন্যান্য মিলেও অভিযান চালানোর কথা বলেন।
এ সময় তিনি চালকল মালিকদের কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করেন এবং চালের মূল্য কমানোর জন্য নির্দেশ দেন। সে সময় উপস্থিত চালকল মালিক সমিতির সভাপতি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন আগামীকাল থেকে কেজি প্রতি দুই টাকা করে চালের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। ঐ দিন মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালের মোকামে অভিযান চালাতে জেলা প্রশাসককে কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন। উক্ত সভায় মন্ত্রী নির্দিষ্ট একটি চালকলের নাম উল্লেখ করে সেখানের ধান ও চালের মজুতের তথ্য যাচাই-বাছাইয়েরও নির্দেশ দেন। গত ১৯ দিনের মধ্যে একদিনেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন চালকল মিলে অভিযান পরিচালনা হয় নাই।
১৯ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও চালের দাম না কমার বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের সামনে চালকল মালিক সমিতির নেতা ও ব্যবসায়ীরা চালের দাম কেজি প্রতি দুই টাকা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি প্রদানের পরও বাজারে কেন চালের দাম কমছে না এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।