খুলনার কয়রায় সংসদ বাবুর অনুরোধে গোবরা ঘাটাখালী-হরিণখোলা ভাঙ্গনে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রিং বাঁধ সম্পন্ন
শরিফুল ইসলাম, খুলনা, কয়রা প্রতিনিধিঃ
ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও বাতাসের ক্ষিপ্ততা বেশি থাকায় কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদীর গোবরা ঘাটাখালি-হরিণখোলা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুরোধে স্থানীয় উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় জনসাধারনের অংশ গ্রহনে বিগত নয় দিনে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিং বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায় কয়রা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে, বিশেষ করে (৭,৮,৯) নং ওয়ার্ড, মহারাজপুর ইউনিয়ন থেকে আসা, মহেশ্বরীপুর থেকে আসা স্বেচ্ছা শ্রমিকের ঐক্যন্তিক প্রচেষ্টায় রিং বাধঁ সম্পর্ন করা সম্ভব হয়।
সংসদ বাবুর অনুরোধে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জি এম মোহসিন রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৩০ মে ভোর থেকে স্থানিয় হাজারো জনসাধারণের সাথে দলীয় নেতা কর্মী কাধে কাধ মিলিয়ে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে রিং বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হয়। গত কয়েক দিনের কষ্টের ফল জনসাধারণের একান্ত প্রচেষ্টায় রিং বাধের জন্য প্রয়োজনীয় বাঁশের খুটি, খড়, পেরেক, টিন ব্যাবহার করে ও বালি ও মাটির বস্তা ফেলে বাঁধ চাপান দিয়ে পানি আটকাতর সক্ষম হয় সকাল ৯. ৩০ ঘটিকায়। তারপর থেকে পর্যায় ক্রমে রিং বাধঁ কে টেকসই ও উচু করার কাজ শুরু হয়ে চলতে থাকে দুপুর ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত।
সংসদ বাবু নির্দেশনায় স্থানিয় প্রশাসন ও কয়রা থানা পুলিশ বাধঁ বাধাঁর কাজে জনগনের পাশে থেকে উৎসাহ দিয়ে সহযোগিতা করেন। আজ থেকে কয়রা সদর ইউনিয়ন বাসি লোনা পানি মুক্ত হচ্ছে এই রিং বাধের কারণে। কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজা বলেন আমাদের বলেন, রিংবাধ দেওয়া মানে পানি মুক্ত নয়। এটি এখন সঠিক তদারকি না করতে পারলে আবার ও আমরা লোনা পানিতে তলিয়ে যাবো। তাই ইউপি চেয়ারম্যান কে এটি রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বাধে সার্বক্ষণিক কিছু লোক কাজ করানোর অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন আরো একদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে পারলে ভাল হয়। এমপি সাহবের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে। আপনাদের সকলের ঐক্যন্তক সহযোগীতায় বাধঁ নির্মান মাধ্যমে এলাকাবাসী কে লোনা পানি মুক্ত করতে সফল হওয়ায় এমপি সাহেবের পক্ষ থেকে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর যে সকল রাজনৈতিক ভাইয়েরা বাধঁ নির্মাণ নিয়ে রাজনৈতিক ফাইদা নেওয়া চেষ্টা করছেন। তাহারা সাবধান হন জনগন কিন্তু আপনাদের ফাইদা নেওয়ার সুযোগ দেবে না। আগে জনগনকে লোনা পানি মুক্ত করতে হবে। তিনি আরো বলেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র অনুরোধে এলাকার সাধারন মানুষদের সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন কবলিত ভেড়িবাঁধের কাজ শুরু করা এই কাজে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়ন কে পানি মুক্ত করার চেষ্টা আজ আমরা সফল হয়েছে। প্রতি বছর গোবরা ঘাটাখালী- হরিণখোলা খুব নাজুক অবস্থায় থাকে। এই বাধটি যাতে টেকসই বাধ হয় সে ব্যাপারে উদ্ধৃর্থন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বাধঁ নির্মানে আসা সকলে কে ধন্যবাদ।
কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম হুমায়ুন কবির বলেন, অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে এমপি সাহেবের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় জনগণকে সাথে নিয়ে রিং বাধ সম্পন্ন করতে পারায় আমি তথা কয়রা বাসী আজ আনন্দিত। আমি প্রথমে ধন্যবাদ মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে। তারপর জানাই সংসদ বাবু কে তারা কাছে বাধ মেরামতের প্রয়োজনীয় সারজ্ঞম চাওয়া মাত্র কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে সেটা পাওয়ায় আজ আমরা দ্রুত পানি মুক্ত হতে পেরেছি। কয়রা বাসীর কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ তারা সকলে স্বতঃস্ফুত ভাবে বাধ মেরামত করতে আসায়। ধন্যবাদ জানাই বন্ধন যুব সমাজ কে। তারা বাধ মেরামতে আসা মানুষদের তৃষ্ণা মিটানোর জন্য পানির ব্যাবস্থা করার জন্য। কয়রা পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, কয়রার স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মানের কাজ আগামী শীত মৌসুমীতে শুরু করা হবে। এখন সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জিও ব্যাগে দিয়ে বাধ মেরামত করা হবে। দুর্গতদের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খান জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে গ্রামবাসীর সহায়তায় গোবরা ঘাটাখালী-হরিণখোলা এলাকার ভাঙন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ করে নদীর পানি ঢোকা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ভাঙন পয়েন্টে নতুন বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী পঠিয়েছে । খুব শিগগির তারা ভাঙন পয়েন্টে কাজ শুরু করবেন।