মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় টেউ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে আজ ফাঁকা খুলনা মহানগরী। কিছু ওষুধ ও মুদি দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত, খুলনা মহানগরীর ব্যস্ত এলাকা গুলো ছিল জনমানব শুন্য। দু’একটি রিকশা ও ইজিবাইক ছাড়া অন্য সকল যানবাহনের দেখা মিলে না। যারা যাত্রী ছিলেন তারও জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছেন বলে জানান।
আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) ১ লা রমজান ও সেই সাথে বাংলা নবর্বষ এসব কিছুর আমেজ থমকে গেছে মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে। আজ থেকে শুরু করে এ বিধিনিষেধ, চলবে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত।নগরীর এক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ অনুযায়ী আমরা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি খোলার নির্দেশনা পেলায় তবেই আমরা খুলবো।
শিরোমনি বাজারের কেডিএ মার্কেট সংলগ্ন চায়ের দোকানদার সুমন বলেন, রোজা শুরু হইছে এমনিতেই বেচাকেনা নাই। এরপরে আবার লকডাউন, তাই দোকান বন্ধ রাখছি।
ইজিবাইক চালক মোঃ বাবু বলেন, রোজা আর লকডাউন দু’টো মিলিয়েই মানুষ নেই রাস্তায়। আমি বের হইছি পেটের দায়ে। গাড়ি না চালালে সংসার চলবে কিভাবে। আমরা তো আর টাকা পয়সা পায়না সরকার আমাদের ভাত দিয়ে এরপরে লকডাউন দিক, তাহলে আমরা আর বের হবো না।
খুলনায় ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। টহল দিচ্ছেন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল। বিধি ভেঙে রাস্তায় বেরোলেই জবাবদিহি করতে হচ্ছে পুলিশের কাছে। বন্ধ রয়েছে নগরীর সব অফিস-আদালত। তবে চালু রয়েছে জরুরি সেবা কার্যক্রম। পায়ে হেটে অথবা নিজস্ব পরিবহনে চলাচল করছেন জরুরি সেবার কর্মীরা। সব মিলিয়ে কঠোর ভাবে লকডাউনে খুলনা শহর কারণ খুলনায় গ্রামের তুলনায় শহরে সংক্রামণ ও মৃত্যু হার বেশি।