গত আড়াই বছরে কি একটি ভাল কাজও করেননি কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ?

প্রকাশিত: ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২১

কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

গত আড়াই বছরে কি একটি ভাল কাজও করেননি কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপি এম বার ? তার কাজ গুলোর হিসাব মিলালেই বেরিয়ে আসবে তিনি কুষ্টিয়াবাসীর জন্য কি করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভালো কাজের কেউ মূল্যায়ন করতে চাইনা, উক্ত ভালো কাজের মধ্যে একটি খারাপ কোনো তথ্য পেলে সেটা নিয়েই সমালোচনায় জড়িয়ে পড়ে সর্বমহল। দীর্ঘ আড়াই বছরে কুষ্টিয়াতে কি কি করেছেন তার হিসেব একটু মিলিয়ে দেখি যে, কুষ্টিয়ার এসপি কোন খারাপ কাজটি করেছে।গত আড়াই বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো:১.গত আড়াই বছরে কুষ্টিয়া থেকে মাদক নির্মূল ও মাদক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করেছেন। এতে করে মাদক ব্যবসা কমেছে। ২. পুলিশের অভ্যন্তীরন ঘুষ লেনদেন বন্ধ করেছেন। ৩. পাসপোর্টের তদন্ত ৩ দিনের মধ্যে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এক্ষেত্রে অর্থ লেনদেন বন্ধ করেছেন। ৪. ৭টি থানাকে সিসিটিভি মনিটরিংয়ের আওতায় এনেছেন। থানায় এসে যাতে কেউ হয়রানী না হয় সে ব্যবস্থা করেছেন। ৫. মামলায় দ্রুত সময়ের মধ্যে চার্জশীট দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ৬. ওয়ারেন্টের আসামী গ্রেফতারে নানা ব্যবস্থা নিয়েছেন। ৭. মামলা নিস্পত্তি ও বিচারকাজ দ্রুত করতে স্বাক্ষী হাজিরায় খুলনা বিভাগের মধ্যে নজির স্থাপন করেছেন। ৮, চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত চার্জশীট দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ৯.সাধারন মানুষ যাতে মিথ্যা মামলায় হয়রানী না হয় সে জন্য থানাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে করে হয়রানী কমেছে। ১০. পুলিশের বদলি বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। ১১. সেবা সহজতর করতে ই-সেবা চালু করেছেন। ১২. পুলিশের দুর্নীতিবাজ ও মাদক সেবনকারী অফিসার ও সদস্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়েছেন। ১০ মাদক সেবনকারি পুলিশ সদস্যের চাকুরি গেছে তার সময়ে। ১৩. জিডি ও মামলা নেয়ার সময় সমস্ত অর্থ লেনদেন বন্ধ করেছেন। ১৪. জেলায় ডাকাতি ও ছিনতাই বন্ধে হাইওয়েতে টহল জোরদার করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামী গ্রেফতার করেছেন। ১৫. বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর কারীদের ২৩ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছেন। ১৬. ই-ট্রাফিকিং সেবা চালু করেছেন। ১৭. মামলাজট কমাতে আদালতকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করে আসছেন। ১৮. বাঘা যতিনের ভাস্কর্য ভাংচুর কারীদের দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার। ১৯.করোনাকালে চিকিৎসক, নার্সদের পিপিই, মাস্কসহ মেডিকেল সামগ্রী দিয়ে নজির স্থাপন করেন। কয়েক হাজার পিপিই সরবরাহ করেন তিনি। ২০, করোনাকালে তিন হাজার মানুষকে খাদ্য সহয়তা দেন পুলিশ সুপার। ২১, ঘূর্ণিঝড় আমপানে ঘর হারানো অসহায় বৃদ্ধ নারীকে ঘর নির্মাণ করে দেন পুলিশ সুপার। ২২. অসংখ্য মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থীকে সহয়তা করেছেন পুলিশ সুপার। ২৩, করোনাকালে পুলিশ লাইন স্কুলের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর সমস্ত অর্থ মওকুফ করেন। ২৪. করোনাকালে তার নেতৃত্বে সাধারন মানুষকে ঘরে রাখতে ও সহযোগিতা দিতে কাজ করেন সকল সদস্য। ২৫. করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন পুলিশ সুপার। ২৬. সড়কে দলীয় নেতাদের চাঁদাবাজি বন্ধ করেন পুলিশ সুপার। ২৭. ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি প্রভাবশালীদের কবল থেকে জমি উদ্ধার করে তা ফিরিয়ে দেয়ার মত ব্যবস্থা করেন পুলিশ সুপার। ২৮. করোনাকালে অন্য জেলায় কৃষি শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করা। ২৯. করোনাকালে আলেমদের সহযোগিতা প্রদান। ৩০. শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান। ৩১. সামাজিক হানাহানি ও কাইজ্যা বন্ধে দুই পক্ষের মধ্যে আপোষের ব্যবস্থা করা। ৩২. গরু চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। ৩৩. প্রত্যয়ীর মাধ্যমে অসহায় নারী ও শিশুদের সেবা প্রদান, পারিবারিক কলোহ নিরসন। এছাড়াও পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের নেতৃত্বে অসংখ্য ভাল কাজ হয়েছে এ জেলায়। তিনি সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার সুফল জেলার মানুষ ভোগ করছে। কাজ করতে গেলে মানুষের ভুল হতেই পারে। ভূলের ঊর্ধ্বে কোন মানুষই নয়। তাই একটি ভুলকে দিয়ে একজন মানুষকে পরিমাপ করা ঠিক নয়। ভুল বোঝাবুঝির নিরসন হয়ে সবাই দেশের জন্য কাজ করুক এই প্রত্যাশা রইলো। আর পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সু-সম্পর্ক স্থাপনেও তার অনন্য নজির রয়েছে। পুলিশ ও বিচারক সবার জন্য শুভকামনা।




error: Content is protected !!