ঘোড়াঘাটে করোনায় আক্রান্ত কৃষককের ধান কেটে ঘরে উঠানোর খরচ বাড়িতে পৌঁছে দিলেন- এএসপি এবং ওসি
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের একজন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত থাকা সত্বেও উপজেলার পালশা ইউনিয়নের পশ্চিম পালশা গ্রামের করোনায় আক্রান্ত রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ রিপোন মিয়ার জমিতে থাকা পাকা ধান নষ্ট্য হয়ে যাচ্ছে মর্মে খবর পাওয়ার সাথে সাথে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেল মোঃ আখিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইন্চার্জ আমিরুল ইসলাম সঙ্গিও আরো পুলিশ সদস্য সহ উপস্থিত হয়ে উক্ত করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় ঘরে বন্দি থাকা কৃষককে ধান কেটে ঘরে তুলে নেওয়ার জন্য তার হাতে লেবারের পারিশ্রম বাবদ নগত অর্থ তুলেদেন।
এই নগত অর্থ প্রদানের বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে বলে মনে করছেন সচেতন সমাজের অনেকেই।
একজন করোনায় আক্রান্ত রোগী তার রোপন কৃত সেই পাকা ধান কাটার ব্যবস্থা করতে না পারার করনে তার খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হবার উপক্রমের সৃষ্টি করে ছিলো। তবে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেল এবং ঘোড়াঘাট থানা ওসি’র এই মহতি উদ্যোগ পুলিশ বাহিনীর জন্য প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করেছে বলে অনেকেই তাদের মত প্রকাশ করেছেন।
ধান কাটতে যে লেবার খরচ হয়েছে সেই টাকার পুরোটাই ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ দিয়েছেন বলে আমাদের নিশ্চিত করেছেন সার্কেল এএসপি মোঃ আখিউল ইসলাম, হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট।
তিনি আরো বলেন আপনারা অবগত আছেন ঘোড়াঘাট থানায় কর্মরত এসআই মোজ্জাফর এর করোনা পজেটিভ ধরা পরেছে তবে ঘোড়াঘাট থানার অফিঃ ইনঃ আমিরুল ইসলামের পেশাদারি দায়িত্ব বোধ এবং একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে তার মমত্ববোধের কারনে যতটা কেয়ার উক্ত অফিসারের জন্য তিনি করছেন সেটিও প্রশংসার দাবিদার আমি তার সঙ্গে গিয়ে আইসোলিশনে থাকা এসআই মোজাফ্ফার এর সহিত দেখা করেছি খোজ খবর নিয়েছি আমাদের উক্ত অফিসার ভালো আছেন বলে জানান। পরিশেষে তিনি দিনাজপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বিপিএম পিপিএম বার সহ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যদের জন্য দোয়া কামনা করেন উপস্থিত সকলের নিকট।