আলমগীর বাবুঃচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা যৌথ অভিযানে চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশন ও মৎস অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে চাঁদপুর মোহনা, লক্ষীরচর, সরমালীর চর, আনন্দবাজার, কাঁচিকাটা, আলুবাজার, হরিনা,দোকানঘর, লগিমারারচর, মিনিকক্সবাজার,মোহনপুর এবং পাশবর্তী এলাকায় টহল প্রদানকালীন সময় নদীতে পাতানো অবস্থায় ৪০,০০০ হাজার মিটার কারেন্টজাল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে চাঁদপুর স্টেশানের নির্বাহি কর্মকর্তা ইসহাক, এমসিপিও(এক্স), কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মাইনুল,পিও(সিডি) এবং মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এবং মাহবুবুর রশিদ এর উপস্থিতিতে মাছ কারেন্টজাল সমূহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।পৃথক পৃথক অভিযানে,কোস্টগার্ড আউটপোস্ট হাইমচর এবং মৎস অধিদপ্তরের যৌথ “মা ইলিশ” রক্ষা অভিযান চলাকালিন সময় মেঘনা নদী, চর ইশান বালা সংলগ্ন এলাকা হইতে ০২ টি ইন্জিন চালিত কাঠের বোট, ২ লাখ মিটার সুতার জাল,১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ৬০ কেজি মা ইলিশসহ ১০ জন অসাধু জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড। অসাধু জেলেরা হলেন মোঃসফিক রাড়ী(৪০),পিতাঃফজল রাড়ী, মোঃসাইফুল(২০), পিতাঃআনোয়ার,হারুন মিজি(৪০),পিতাঃকুদ্দুছ মিজি,হযরত আলী(৩০),পিতাঃগিয়াসউদ্দিন, মোঃজুয়েল ভুঁইয়া(২৪),পিতাঃরফিকভূঁইয়া,ইয়াছিন(২৫),পিতাঃহানিফ সর্দার, আক্কাছ আলী(২৩), পিতাঃগিয়াসউদ্দিন, হাকিম(২০), পিতাঃগিয়াস উদ্দিন,আহাম্মেদ আলী(৩৫), পিতাঃগিয়াস উদ্দিন। এদের সকলের বাড়ি সাং-চর, ফতেহ জাং পুর,পোস্টঃইব্রাহিমপুর, থানা+জেলাঃ-চাদঁপুর এবং বোরহান প্রধান(৪২), পিতাঃমৃত হাছান প্রধান,সাং-মাশুর গাও,পোস্টঃ গোসাইরহাট, থানাঃ-গোসাইরহাট,জেলাঃ-শরিয়তপুর।পরবর্তীতে কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনাকারী কমকর্তা এমাদাদুল হক,পেটি অফিসার, নির্বাহী মেজিস্ট্রেট (ভূমি) রিগ্যান চাকমা এবংউপজেলা মৎস কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমূখের উপস্থিতিতে জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়,মাছ দুঃস্থদের মাঝে বিতরন করা হয় এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অসাধু ১০জন জেলেকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট(ভূমি) রিগ্যান চাকমা।এছাড়া ও কোস্টগার্ড আউটপোস্ট চরজালিয়া(রায়পুর) এবং মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান চলাকালীন মাজের চর,সাজু মোল্লার ঘাট, মাস্টার ঘাট,মাজের চর, কাটা খাল এলাকা সমূহ হইতে নদীতে পাতানো অবস্থায় ৩০,০০০ মিটার কারেন্টজাল,৫০ কেজি সমপরিমাণ মা ইলিশ এবং একটি ইন্জিন চালিত কাঠের নৌকা জব্দ করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড। উদ্ধারকৃত মাছ সমূহ স্থানীয় এতিম খানায় বিলি করে দেওয়া হয়, জল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং কাঠের নৌকাটি মৎস অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ড চরজালিয়ার কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান,সিপিও, মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।