মোঃ জামাল হোসেন লিটন,চুনারুঘাট থেকেঃ করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং প্রয়োজন ব্যতিরেকে জনগণের চলাচল কঠোরভাবে সীমিতকরণ এ লক্ষ্যে চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন সোমবার অভিযান অভিযান পরিচালনা করেছে।
চুনারুঘাট উপজেলায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৬৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় এ উপজেলাকে ইতোমধ্যে ইয়োলো জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
১৫ জুন ২০২০ তারিখ থেকে আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত জনগণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। কেবলমাত্র জরুরী রোগী পরিবহনকারী গাড়ি, কৃষিজ পণ্য পরিবহনকারী গাড়ি, জরুরী সেবা প্রদানকারী সংস্থার গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে। এ সময়সীমার মধ্যে শুধুমাত্র কাঁচা বাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান সকাল ১০.০০ টা থেকে দুপুর ২.০০ টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। ফার্মেসী সমূহ এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
জরুরী প্রয়োজন ব্যতিরেকে জনগণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনা অমান্য, মাস্ক ব্যবহার না করা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান পরিচালনা করায় সোমবার চুনারুঘাট পৌর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল। এসময় উপস্হিত ছিলেন পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু।সার্বিক সহযোগিতায় ছিল চুনারুঘাট থানা পুলিশের একটি দল। সর্বমোট ২ টি মামলায় ৬,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়।
সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা সহ সকল ধরনের যানবাহন সমূহের পৌর এলাকায় স্থাপিত ব্যারিকেড অতিক্রম করে শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল ব্যবসায়ীকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হলো। মাস্ক ব্যতীত কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। সরকার প্রণীত সকল নিষেধাজ্ঞা সবাইকে মেনে চলার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে অন্যথায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।