চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সীমান্তে বেড়ে গেছে গাঁজা ব্যবসা। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা ভারতের ত্রিপুরা থেকে গাঁজা এনে তা পাচার করছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সীমান্তরক্ষী বিজিবি,পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের রোধ করতে পারছে না। দেশে করোনা ভাইরাস ও রমজান নিয়ে সাধারন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি যখন ভিন্ন দিকে ঠিক তখন সীমান্তের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁজা পাচারে সর্বশক্তি নিয়োগ দিয়েছে। সেহরী ও ইফতারের পর্ব মহুর্তে গাঁজার চালান যাচ্ছে নির্দিষ্ট আড়তে।
গত ১ সপ্তাহে জনতা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে বিপুল পরিমান গাঁজা আটকের পর বিষয়টি সাধারন মানুষের নজরে আসে।
চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি,চিমটিবিল,গুইবিল,বাল্লা,
রেমা এবং কালেঙ্গা সীমান্তের ১০টি পয়েন্ট দিয়ে গাঁজা প্রবেশ করছে দেশে।
আলীনগর,রেমা,চেকানগর,গোবরখলা,বাল্লা,টেকেরঘাট,কেদারাকোর্ট,দুধপাতিল,টিলাবাড়ি,সাদ্দাম বাজার,হাপ্টারহাওর,ইকরতলী,নালুয়া,আমু এবং চিমটিবিলখাস গ্রামের ২ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী মাদক পাচারে জড়িত। গত সপ্তাহে নরসিংদি এলাকায় র্যাবের হাতে সাদ্দাম বাজারের মৃত ছিদ্দিক আলীর পুত্র রিয়াদ ২০ কেজি গাজাসহ আটক হয়। ৯ মে গুইবিল বিজিবি’র হাতে ৮ কেজি গাজাসহ আটক হয় ডুলনা গ্রামের ছিদ্দিক। ১৮ মে ডুলনা চা বাগানের শ্রমিক রাম কালিয়া মুন্ডা নামে এক ব্যক্তিকে ১৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে বিজিবি।
বুধাবার সন্ধ্যায় আহম্মদাবাদ ইউপির বগাডুবি গ্রামে মাদকে চালান আটক করতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী,নোয়ানী গ্রামের কামালের ছুড়িকাঘাতে মারাত্মক আহত হয় রাব্বি নামের এক কিশোর। সে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী বলেন, কিশোর রাব্বি গ্রাম পুলিশ সালামের সাথে গাঁজা আটকের ঘটনা দেখতে গেছিলো। এর ৪ দিন আগে বনগাও গ্রামের রাব্বির হাতে কিছু গাঁজা এবং একটি মোটরসাইকেল আটক হয়েছিলো।
সীমান্ত সুত্র জানান, মাদকের গড ফাদাররা রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় থেকে নির্বিগ্নে মাদক ব্যবসা করছে। কোন কোন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের বিরোদ্ধে মামলা করে পুলিশকে বোনঠাসা করে রেখেছে। পুলিশ নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়িদের আটকাতে পারছে না।