চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চা বাগানের পাহারাদার ষাটোর্ধ্ব রমা চরন মুন্ডা বলেন, একসময় চন্ডিচড়া চা বাগান থেকে রামগঙ্গা চা বাগান পর্যন্ত বাগানের পানি প্রবাহিত হওয়ার জন্য এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখানে একাটি খাল ছিল। এই খাল থেকে নির্বিচারে বালু লুটপাটের কারণে খাল বিলীন হয়ে প্রথমে পাহাড়ি ছড়া এবং পরে এ এলাকা একটি ফুটবল খেলার মাঠে রূপ নিয়েছে।
পাহাড়ি পানির প্রবল স্রোতের কারণে বাড়ি-ঘর ছড়ায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। চা বাগানের টিলায় বসবাস করা শ্রমিকরা বাড়ি ঘর হারিয়ে পথে বসেছেন। এখনই ব্যবস্থা না নিলে মাইলের পর মাইল চা বাগানের টিলা ভেঙে ছড়ায় বিলীন হয়ে যাবে।
সরজমিন ঘুরে ও চা বাগান শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ঢাকা-সিলেট সহাসড়কের চন্ডিছড়া থেকে রামগঙ্গা চা বাগান পর্যন্ত মহাসড়কের পাশেই ছড়ায় রাত দিন বালু লুটপাট চলছে। দুই যুগ ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ সিলিকা বালি লুটপাটের কারণে এ এলাকায় ভাঙন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যখন যে সরকার ক্ষমতায় তাদের নেতা পাতিনেতারা লুটপাটের অগ্রভাগে। যুগযুগ ধরে প্রকাশ্যে বা রাতের আঁধারে বালি পাচারের ফলে এমন অবস্থায় রূপ নিয়েছে। এদের লুটপাট বন্ধ করা যাচ্ছে না। চা বাগানের টিলা ও টিলার ওপর শ্রমিকদের বাড়ি ঘর ভাঙতে ভাঙতে খাল রূপ নিয়েছে বিশাল ফুটবল খেলার মাঠে। এখানে এখন চা বাগান শ্রমিকদের ছেলেরা ফুটবল খেলছে।
চুনারুঘাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল বলেন, অবৈধ বালু পাচারকারীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এবং অর্থদণ্ড করা হচ্ছে। আমি চুনারুঘাটে নতুন যোগদান করেছি। আমি সরেজমিন দেখব এবং বালু পাচার বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেব।