চেয়ারম্যান প্রার্থী আতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বাধীনতা বিরোধীচক্ররা

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এলেই স্বাধীনতা বিরোধীচক্ররা নানা কূটকৌশলে মাঠে নেমে পানি ঘোলায় মরিয়া হয়ে ওঠে। ঠিক তেমনি আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে স্বাধীনতা বিরোধীরা একক প্রার্থী দিয়ে এই উপজেলা থেকে বারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি থেকে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী সদর উপজেলায় নির্বাচিত হতে পারেনি। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড. আহসান উল্লাহসহ অনেক সিনিয়র নেতারা সদর উপজেলা নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের কাছে বারবার পরাজিত হয়েছে। এই উপজেলায় কখনও জাতীয় পার্টি, কখনও জামায়াত, কখনও বিএনপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। আতাউর রহমান আতা একমাত্র চেয়ারম্যান যিনি সদর উপজেলা পরিষদে প্রথম নির্বাচিত আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান। উপজেলা প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এই প্রথম আতাউর রহমান আতা আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
এবার উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সদর উপজেলা পরিষদের সফল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানারকম ষড়যন্ত্র। স্বাধীনতা বিরোধী  চক্রের এখানে প্রার্থী করেছিলো জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল ও জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি সুজা উদ্দিনকে। মাঠ পর্যায়ে আওয়ামীলীগ নেতা আতাউর রহমান আতার জনপ্রিয়তা এবং তৃণমূলে সাধারণ মানুষের আস্থা, ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে শেষ পর্যন্ত লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে বিএনপি জামায়াত প্রার্থী। সাধারণ মানুষের বক্তব্য আতাউর রহমান আতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির নির্দেশে এবং নেতৃত্বে সদর উপজেলার আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভাজিত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে শক্তিশালী সংগঠনে রূপ দিয়েছেন। সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিনের সামাজিক দ্বন্দ্বকে নিরসন করে সামাজিক ভিতকে আরও মজবুত করেছেন।
আলামপুর ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামের ৬৬ বছরের রেনু বেগম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আতা ভাই আমাদের কোন গরিবের টাকা মারে না। গোরস্থান মসজিদের টাকা মারে না। তিনি ঈদসহ বিভিন্ন সময়ে আমাদের নতুন নতুন শাড়ি কাপড় ও নগদ অর্থ দিয়ে এই হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়ায়। বালিয়াপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আতাউর রহমান আতা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় কখনও থানা পুলিশ নিয়ে কখনও গ্রেফতার বানিজ্য করেনি। তিনি কোন প্রতিশোধ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। জনগনের কল্যাণে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বস্তরের মানুষের সমর্থনে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে আতাউর রহমান আতার বিজয়ের সম্ভাবনা ততই তৈরী হচ্ছে। কোন ষড়যন্ত্র, মিথ্যা ও অপবাদ ধোপে টিকছে না। সদর উপজেলার মানুষ আতাউর রহমান আতাকে খুব কাছ থেকে চেনে ও জানে। তার দপ্তরে গিয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফেরেনি।




error: Content is protected !!