নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ০২নং ওয়ার্ডের সহজ সরল সিরাজুল হক, বাড়িতে অসুস্থ উনি আর ওনার সহধর্মিণী জীবন আরা বেগম থাকেন, ছেলে আর মেয়ে থাকে লেবাননে।
তাদের দেখার জন্য কেউ নেই। এই সুযোগে সিরাজুল হকের উপরে চলতেছে ০৩ভাতিজার অমানবিক নির্যাতন অত্যাচার
নূর নবী চৌধুরীর অত্যাচারঃ
চাচা সিরাজুল হকের জায়গা দখল করে করেছে নিজের চলাচলের জন্য বিশাল রাস্তা, মেয়ে (সিরাজুল হকের) দূর প্রবাস থেকে কল করে বাঁধা দিলে নুর-নবী দেয় মেরে ফেলার হুমকি। চাচা সিরাজুল হক ও ওনার পরিবারের সাথে প্রতিদিন নানারকম অত্যাচার আর হুমকি ও দিয়ে যাচ্ছে ।
অন্যদিকে সিরাজুল হকের আরেক ভাতিজা বাহার মিস্ত্রী আর জসীম মিস্ত্রীর অমানবিক নির্যাতন চলতেছে; বাড়িতে পানি আবদ্ধ করে সিরাজুল হকের ঘরকে করেছে পানি বন্ধি, জায়গা দখল করে নিয়েছে। মামলা দিয়ে রেখেছে। অমানবিক হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে সিরাজুল হকের মেয়ে আয়েশা আক্তার মুন্নির সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি জানান,
“রাস্তা নিয়ে সমস্যা ২০০৫ সালে শুরু দখল করে রাস্তা করে আমাদের আর সোদাগোর বাড়ির জাগয়ার উপর। মামলা ও হইছে। নবী ভাই আমাদের সাথে আর ঝামেলা ও গাছ কাটবে না তার জন্য মিমাংসা দলিল হইছে মুছাপুর হাইস্কুলে শিক্ষক নূর উল্লাহ মাষ্টার এর কাছে। তারপরও আমার বাবা-মার উপর জামেলা করে। আমাগো অনেক গুলো গাছ কেটে নিয়ে গেছে আরো কাটতে চায়। নূর নবী ভাই গতো বছর গাছটা কেটে পেলের আমার মায়ের কি কান্না। আল্লাহর কি রহমত আমাদের পক্ষে বক্তব্য দেন গাছ কাটতে পারবে না ওনি হলেন আমেরিকান প্রবাসি আইয়ুব আলী ভাই। যার ফলে গাছ কাটে নায় এখন সেই গাছ কটার পায়তারা “প্রতিবাদ করায় আমাকে পিসে মরে পেলার হুুমকি”। রাস্তা করার কারনে বাড়ির পানি নামার জায়গা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা হয়ে গেলাম পানি বন্ধি। ওনার নাকি বাদল মিয়ার সাথে ভালো পরিচয়। আমাদের নাকি অনেক কিছু করতে পারে। এই রাস্তার কারনে সব সময় জোর জুলুম করে ওনারা ওনাদের রাস্তা যতোটুকু করছে তা নিয়া থাকুক। কিন্তু আমরা জুলুম নির্যাতন অত্যাচার করতে পারবে না।” অপরদিকে, বাহার মেস্ত্রী আর জসিম মেস্ত্রী জোর জুলুম আজ ১২বছর ধরে করে যাচ্ছে। তাদের বাবার কোন জায়গা নায়। ছেলেরা কিভাবে পাবে? আমার বাবার অসহায়তা পেয়ে সবাই মিলে অন্যায় ভাবে জোর জুলুম করে যাচ্ছে। বয়স্ক ২জন মানুষ সারা দিন রাত ভয়ে দিন কাটায়। কথায় কথায় বাহার ও জসিম তাদের মেরে পেলবে ভয় দেখায়। মামলা হইছে ১৩-১৪টা সব রায় আমাদের পক্ষে কিন্তু জায়গা তারা দখল করে নেয়। “আমাদের দেখার কেউ নায়, চেয়ারম্যান সাহেব সব জানেন। সমাধান করে দেয়ার কোন মানুষ পায় নেয়।আমাদের জায়গা মেপে দিলে হবে।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি বলেন, “আসলে সিরাজুল হক সাহেব অনেক ভালো মানুষ, এটা ওনাদের পারিবারিক দীর্ঘদিনের ঝামেলা আইনের কারনে আমি কিছু করা সম্ভব নয়” ঘটনার সত্যতা জিগ্যেস করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ” উনি সহজ সরল মানুষ তাই নূর নবী চৌধুরী এবং বাহার-জসীম সিরাজুল হকের সাথে টাক্কা খেলের এবং বিভিন্ন সময় নির্যাতন জুলুমের ও ঘটনা জানি”।
এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য, নূর-নবী চৌধুরী, বাহার মিস্ত্রি জসীম মিস্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে ওনারা ওনারা যোগাযোগ করেন নি, কল করা হলে তাও ধরেন নি।
উল্লেখ্য যে, এ-ই সংক্রান্ত কোম্পানীগঞ্জ থানায় ও বেশকিছু মামলা রয়েছে ।