ঝিনাইদহে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রনে যে কোন সময় জেলা শহরে এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষনা করা হবে
মোঃ শহিদুল ইসলাম,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি;
ঝিনাইদহে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রনে যে কোন সময় জেলা শহরে এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষনা করা হবে। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চলমান ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় সব কথা বলা হয় । সিনিয়র সচিব পরিকল্পনা বিভাগ ও সমন্বয়ক ঝিনাইদহ জেলা মো: আসাদুল ইসলাম ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনায় অংশ নেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের (কালীগঞ্জ উপজেলা) সংসদ সদস্য মো: আনোয়ারুল আজীম আনার, সেনা কর্মকর্তা ল্যা ঃ কর্ণেল নাসির উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান পিপিএম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, সদর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আব্দুল হামিদ খান, ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমানসহ অনেকে। এসময় ৬ উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এসভায় জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেছেন, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বর, কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের মেম্বরসহ জনপ্রতিনিধিদের কর্মকান্ড নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেসব কৃষক সুযোগ পাওয়ার পরেও আজো সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেননি তাদের কার্ড বাতিল করা হবে। সেই সাথে যত্রতত্র পশু হাট বসতে দেওয়া হবেনা। এসব বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সভায় সিভিল সার্জন ডা; সেলিনা বেগম বলেন, প্রতিদিন মৃত্যু ও সংক্রমণের হার বড়ছে। আসন্ন কোরবানীর ঈদ এবং পশু কেনা বেচার সময় সংক্রমণ আরো বাড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ২৮২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯০ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু বরণ করেছেন অন্তত ৭জন। এ অবস্থায় কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের উপর জোর দেন তিনি। সদর পৌরসভার মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, জেলা শহরের বেশ কয়েকটি মহল্লায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই সব এলাকায় শিগগিরি লকডাউন ঘোষনা করা হবে। সভার সভাপতি ঝিনাইদহে গৃহীত কার্যক্রম ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।