নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

তানিম বিল্লাহ, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গরুর হাট শেষ পর্যন্ত জমে উঠেছে। হাটে প্রচুর গরু থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে তুলনামূলক ব্যাপারী অনেক কম। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে তেমন একটা আকর্ষণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তালজাঙ্গা বাজার হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। এ হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বালাই নেই। ফলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এদিকে কোরবানীর পশুর হাটে প্রচুর পরিমাণে পশু উঠলেও দাম কমে যাওয়ায় ব্যাপারীরা রয়েছেন হতাশায়।

সরকার কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মুখে মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে দেশের হাটবাজার বিশেষ করে গরু-ছাগল, ভেড়া ও মহিষ কেনাবেচার হাটগুলোতে কোরবানি পশু বেচাকেনার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বালাই নেই। গবাদিপশু ক্রয় ও বিক্রয়কারিদের চলাচল যেন স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে নেই মাস্ক, শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে হাটের ভিতর চলাচল করছে। ফলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উপজেলার তালজাঙ্গা বাজার হাটে পশু বিক্রেতা রফিকুল, কাইয়ূম ব্যাপারী জানান, গরু হাটের ভিতর জনসমাগমের চাপে হেঁটে চলার উপায় নেই। বেশি সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করলে দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই মাস্ক ব্যবহার করা হয়নি। খুলে রেখেছি।

ক্রেতা সাদেক, গোলাপ, সোরাফ জানান, ঈদের আর মাত্র দু’দিন বাকি আছে। এবার দেশে খামারিদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমানে গরু রয়েছে তাই কোরবানীর পশুর সংকট হবেনা। কিন্তু পশুর হাটে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। হাটে আগত ক্রেতা ও বিক্রতারা মাস্ক না পরায় অনেকে করোনার সংক্রমনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন।

হাটের ইজারাদার রাসেল মিয়া বলেন, ঈদের আর মাত্র দু’দিন বাকি। আজকেই শেষ সাপ্তাহিক হাট। হাটে প্রচুর গরুসহ বিক্রেতা থাকলেও পাইকার ও ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে। এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে হাট পরিচালনা করা কঠিন। তারপরও আমরা সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি এবং মাইক দিয়ে সার্বক্ষণিক সামাজিক দূরত্ব বজায়া রাখতে বলা হচ্ছে।