তাড়াইলে এনজিওর কিস্তি দিতে দিশেহারা গ্রাহক, প্রশাসন নিশ্চুপ

প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২০

তানিম বিল্লাহ, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

রুহুল আমিন ভাই, এনজিও কর্মীরা কিস্তির টাকার জন্য বাড়িতে আসে। আমাদের তো কাজ নাই। কি করে কিস্তি দিবো? এনজিও কর্মীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে অনুরোধ করে লেখা পাঠাচ্ছেন অনেকেই।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সাত ইউনিয়নের নিম্ন ও মধ্য বিত্ত মানুষেরা কোভিট-১৯ এর কারণে চরম বেকায়দায় আছেন। এসব শ্রেণি-পেশার মানুষেরা তাদের প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন এনজিও থেকে বিনিয়োগ গ্রহণ করায় এখন এনজিওর প্রতিনিধিরা দৈনিক ও সাপ্তাহিক কিস্তির জন্য করছেন চাপ প্রয়োগ।
মোবাইল ফোনে চাপ সৃষ্টি করাসহ কর্মচারী পাঠিয়ে টাকা আদায় করছেন।

সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা কোথাও চাপ সৃষ্টি করছেন না। কেউ স্বেচ্ছায় কিস্তির টাকা দিলে তা নিচ্ছেন। তাড়াইল উপজেলায় কাজ করা একাধিক এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার জুন পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ কারণে তারা কাউকে চাপ প্রয়োগ করেন না। যেহেতু তাদের অফিস খোলা সে কারণে কিস্তির টাকা গ্রহণ করছেন।

এ বিষয়ে একাধিক এনজিও কর্মীরা বলছেন, আমরা তো পরের চাকুরী করি, হুকুমের গোলাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বড় বড় এনজিওগুলো যেখানে কিস্তির টাকা আদায় করছে সেখানে আমাদের মতো ছোট সংস্থা বসে থাকতে পারে না।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভুক্তভোগীরা জানান, তারা এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিস্তি দিতে চাননি বলে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করেননি এনজিওর মাঠকর্মীরা। তারা আরো জানান, সরকার জুন মাস পর্যন্ত এনজিও ঋণ পরিশোধ করা লাগবে না বলে ঘোষণা দিলেও এনজিওগুলো তা মানছে না কেন?

সরেজমিনে তাড়াইল উপজেলায় দেখা যায়, গ্রামীন, ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা, এসএসএস ও এফএইচপি’র মতো বড় বড় এনজিওর পাশাপাশি প্রায় অর্ধশত এনজিওর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসকল এনজিওগুলোর প্রতি সচেতনমহল ও সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে। এর কারণ হচ্ছে, চলমান করোনাকালীন সময়ে এ অঞ্চলের এনজিওগুলো কোনো সামাজিক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করেনি। গরিব দুঃখি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এনজিওগুলোর কোনো ভূমিকাই চোখে পড়ে নি।




error: Content is protected !!