তিন দফা বিচার শালিসের পর মুচলেকার সিদ্ধান্ত। বাহুবলে কলেজ ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ভাইরাল। মিমাংসার উদ্যোগ।

প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে এক কলেজ ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে অাপলোড দেয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। বিচার সালিশে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার মুরুব্বীরা।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের আব্দানারায়ন গ্রামের হাজী তাহির উদ্দীনের মেয়ে কলেজ ছাত্রীর অন্তরঙ্গ মূহুর্তের অনেক গুলো ছবি “বাধন হারা পাখি” নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুটিজুরী এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লেখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্তের জন্য বাহুবল মডেল থানায় প্রেরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ নিয়ে গত কয়েকদিন আগে পুটিজুরী মিরেরপাড়া ও আব্দানারায়ন গ্রামের মধ্যে একটি বিচার শালিস অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত বিচার শালিসে মিরেরপাড়া গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল ও তার সহযোগীরা আব্দানারায়ন গ্রামের হাজী তাহির উদ্দিনের মেয়ে কলেজ ছাত্রীর সাথে আর এমন জঘন্যতম ঘটনা ঘটাবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মধ্যেই বিষয়টি পারিবারিক ভাবেই শেষ করা হয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আব্দানারায়ন গ্রামের হাজী তাহির উদ্দীনের মেয়ে কলেজ ছাত্রীর বিভিন্ন অন্তরঙ্গ মূহুর্তের অনেক গুলো ছবি “বাধন হারা পাখি” নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে চেড়ে দেয়া হয়। বর্তমানে কলেজ ছাত্রীর বিভিন্ন অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবিগুলো এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে, এ নিয়ে পুটিজুরী ও বাহুবল এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী বাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি দেখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগটি তদন্তের জন্য বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর প্রেরণ করেন।বিষয়টি তদন্তের জন্য বাহুবল মডেল থানার এস আই শাহ আলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।এদিকে বিষয়টি বিচার সালিসের মাধ্যমে মিমাংসার জন্য উপজেলার আব্দানারায়ন গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়িতে গত ১৪ জুন বিকেলে প্রথম শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শালিস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, পুটিজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুদ্দত অালী। উপস্থিত ছিলেন শেখ অাব্দুল্লাহ মিয়া, মঞ্জুর অালী, খন্দকার বাবুল, খন্দকার রাজা মিয়া, শাহ তোহেল মিয়া সহ উভয় পক্ষের লোকজন। ওই শালিস বৈঠকে অভিযুক্ত উজ্জল মিয়া জানায় সে এ ঘটনায় জড়িত নয়। তখন শালিস বৈঠকে উপস্থিত লোকজন কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে কার্যক্ষম বন্ধ করে দেয়া হয়, পর দিন আরও আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়িতে বিচার সালিশ বসলে সেখানেও কোন সিদ্ধান্ত না আসায়, ১৭ জুন রাত ১০ টায় পূনরায় বিচারে বসার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার রাতে বিচার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহজনক ভাবে অালতা মিয়ার পুত্র উজ্জল ও অাব্দানারায়ন গ্রামের মঞ্জুর অালীর পুত্র ওমান প্রবাসি হাফেজ অাযনবীকে চাপ প্রয়োগ করা হয়, এতে কোনো তথ্য উৎঘাটন করতে না পারায়, পরদিন ১৬ জুন বিকেলে অাবারো উল্লেখিত জায়গায় উল্লেখিত মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে অারেকটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সাবেক চেয়ারম্যান মুদ্দত অালী সহ ১০ জনের একটি বোর্ড গঠন করা হয়। উক্ত বোর্ডের মুরুব্বিরা ১৭ জুন রাত ১০ টার মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু ১৭ জুন বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত এ বিচার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়, বিচার সালিশ শেষে মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত আব্দানারায়ন গ্রামের মঞ্জুর আলী ছেলে হাফিজ আযনবী ও মীরেরপাড়া গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে উজ্জ্বলকে থানায় ও উপজেলায় গিয়ে মুচলেকা দেয়ার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুটিজুরী ও বাহুবল এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।




error: Content is protected !!