দশকজুড়ে জনপ্রিয়তায় শীর্ষ অ্যাপ

প্রকাশিত: ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০

অ্যাপ ছাড়া স্মার্টফোনের আকর্ষণের তেমন কিছুই নাই। আর এ কারণেই বৈশ্বিক অ্যাপ বাজার দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন অ্যাপ আসছে। আর ব্যবহারকারীরাও বেছে নিচ্ছেন বিভিন্ন ক্যাটাগরির অ্যাপ। কিছু অ্যাপ এরই মধ্যে মাইলফলক স্থাপন করেছে। কোটি কোটি ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে মিলবে এসব অ্যাপ। গত এক দশকে জনপ্রিয়তার নিরিখে তৈরি করেছে নতুন নিদর্শন। ডাউনলোডের ভিত্তিতে দশকের সবচেয়ে
জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ নিয়ে লিখেছেন আহমেদ ইফেতেখার

ফেসবুক
২০০৪ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি যুক্তরাষ্ট্রে পথচলা শুরু হয় ফেসবুকের। কিছুদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয় ফেসবুককে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় এর সত্যতা মেলে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৫ কোটিতে। কোনো একক অ্যাপের এত বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী ফেসবুকের জনপ্রিয়তার মানদণ্ড তৈরি করেছে

মেসেঞ্জার
ফেসবুকের জনপ্রিয়তম মেসেজিং অ্যাপ ফেসবুক মেসেঞ্জার। ২০১১ সালের ৯ আগস্ট অ্যাপটি বাজারে আসে। এরই মধ্যে বিশ্বের ১১১টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে এ অ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, উইন্ডোজ সব ভার্সনে ব্যবহার করা যায় ফেসবুক মেসেঞ্জার। জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এই অ্যাপটি বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করছে।

ইনস্টাগ্রাম
ফেসবুকের মালিকানাধীন জনপ্রিয় ছবি ও ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, উইন্ডোজ সব ভার্সনে ব্যবহার করা যায় ইনস্টাগ্রাম। বিশ্বজুড়ে ৩২টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপটি। এখন পর্যন্ত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী ২৫০ কোটি ছাড়িয়েছে।

স্ন্যাপচ্যাট
জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাপটির যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যে এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় স্ন্যাপচ্যাট। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সনে ব্যবহার করা যায়। বিশ্বজুড়ে ২২টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপটি। বিশ্বজুড়ে স্ন্যাপচ্যাটের ২১০ কোটি সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে।

স্কাইপ
২০০৩ সালের আগস্টে কার্যক্রম শুরু করে স্কাইপ। উইন্ডোজ, ম্যাকওএস, লিনাক্স, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এমন কয়েকটি মাধ্যমে স্কাইপ ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে জনপ্রিয় টেলিকমিউনিকেশন অ্যাপ স্কাইপ। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার করে গ্রাহকদের ভিডিও চ্যাট, ভিডিও কলের সুবিধা দেয় স্কাইপ। এটি ব্যবহার করে বার্তা, ছবি, ভিডিও-অডিও কনটেন্ট স্থানান্তর করা যায়। বিশ্বজুড়ে ১০৮টি ভাষায় ব্যবহার করা সম্ভব অ্যাপটি। চলতি বছর শেষে বিশ্বজুড়ে স্কাইপের ব্যবহারকারী ১৪৩ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

হোয়াটসঅ্যাপ
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপের। এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। ফেসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপটি দিয়ে একাধারে টেক্সট ও ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়। একই সাথে ভিডিও কল, ছবি ও ডকুমেন্ট শেয়ারসহ নানা ধরনের সেবা দেয় অ্যাপটি। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস মোবাইল এবং উইন্ডোজ ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়। চলতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ৫০ কোটির বেশি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেছে।

টিকটক
বৈশ্বিক অ্যাপ বাজারে তুলনামূলক নতুন সংযোজন টিকটক। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা করে তিন বছরের মধ্যে দশকের জনপ্রিয় অ্যাপের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চীনা ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক। আইওএস ও আন্ড্রয়েড ভার্সন রয়েছে টিকটকের। বিশ্বজুড়ে ৪০টি ভাষায় এ অ্যাপ পাওয়া যায়। এরই মধ্যে টিকটকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়েছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অসংখ্য দেশে এটি বেশ জনপ্রিয় অ্যাপ।




error: Content is protected !!