দীর্ঘ ৫ মাস পর স্বাস্থ্যবিধিসহ ৬৫ শর্তে সীমিত পরিসরে সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে
ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।
কক্সবাজার সী বিচ, হোটেল মোটেল, কটেজ এবং রেস্টুরেন্টসহ পৌর এলাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে আজ।
অবশেষে আজ থেকে (সোমবার ১৭ আগষ্ট’২০২০ ইং) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত আকারে
দীর্ঘ ৫ মাস পর স্বাস্থ্যবিধিসহ ৬৫টি নির্দেশনা মেনে সীমিত পরিসরে বিশ্বের দীর্ঘতম সী বিচসহ পৌর শহরের পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়ায় কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্টুরেন্ট, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, কিটকট ব্যবসায়ী, ভাসমান ব্যবসায়ী সহ সংশ্লিষ্ট সকলে পর্যটকদের বরণ করতে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে সৃষ্ট উদ্যত পরিস্থিতিতে
দীর্ঘ লকডাউনে প্রায় ৫ মাস যাবৎ সমুদ্র সৈকত জনমানব শূন্য ছিলো। আজ থেকে আবারো চিরচেনা রূপে ফিরবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার পৌর এলাকায় পর্যটন শিল্প সীমিত আকারে খোলা থাকাবস্থায় কোভিড-১৯ এর সংক্রামণের মাত্রা ও গতি প্রকৃতি পর্যবেক্ষন করে পর্যটন শিল্পের উম্মুক্ত এলাকা আরো সম্প্রসারিত করা বা সংকুচিত করার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে কক্সবাজারের পাশ্ববর্তী জেলার থমকে যাওয়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোও চালু করতে নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। সে লক্ষে শনিবার নীলাচলসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট পরিদর্শন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর। বান্দরবান জেলা প্রশাসন জানায়, সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকে খুলে দেয়া হতে পারে পর্যটন স্পটগুলো।
আগামী অক্টোবর মাস থেকে কক্সবাজারে পর্যটন মওসুম শুরু হওয়ার মাস দেড়েক আগেই কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প উম্মুক্ত করে দেওয়ায় পর্যটন শিল্প উদ্যোক্তারা বেশ খুশি। তারা আসন্ন পর্যটন মওসুমের জন্য পরিকল্পিতভাবে সময় নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
আজ থেকে আবারও চিরচেনা সেই পুরনো রূপে ফিরবে সমুদ্র সৈকত। থাকবে না আর রঙ্গিন ডলফিন ও কাচিমের স্বাধীন চৈতন্য।