নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধান কাট-মাড়াইয়ের ধুম
পড়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি। বগুড়া জেলার শস্যভান্ডার
হিসেবে খ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলা। এ উপজেলায় বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে।
এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ উপজেলার কৃষকরা অতিগুরুত্বের সাথে ধানের চাষাবাদ করে
থাকে। ধান এ উপজেলার কৃষকদের সোনালী স্বপ্ন বলা হয়। উপজেলার প্রতিটি মাঠ আমন
ধান সোনালী রূপ ধারণ করেছে। ইতোমধ্যই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আমন ধান কাটা-
মাড়াইয়ের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এখন আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত উপজেলা কৃষকরা।
এবারের আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে ৯১ হাজার ৫১৫
মেট্রিকটণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ উপজেলার কৃষকরা ব্রিধান-৪৯,
ব্রিধান-৩৪ ও কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করে আসছে। নন্দীগ্রাম
উপজেলার কৃষকরা ধানের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তাই বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করে থাকে।
এবারো এ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ১লা অগ্রহায়ণ থেকে কৃষকদের ঘরে
ঘরে শুরু হবে নবান্ন উৎসব। নবান্ন উৎসবে কৃষকদের ঘরে ঘরে নতুন চালের পিঠা, পুলি ও
পায়েসসহ নানা রকমের খাবার তৈরি হয়ে থাকে। নবান্ন উৎসবে জামাই-ঝি ও আত্মীয়-
স্বজনদের আমন্ত্রণ করে ধুমধামে খাওয়ানো হয়। বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব এ
উপজেলার কৃষকরা যুগযুগ ধরে পালন করে আসছে। এ উপজেলার প্রতিটি গ্রামে নতুন
চালের মৌমৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবুর সাথে কথা
বললে তিনি বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যনিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছি।
কৃষকরাও আমন ধান উৎপাদনে আন্তরিক ছিলো। তাই এবারো এ উপজেলায় আমন ধানের
বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বর্তমান বাজার মূল্যে কৃষকরা অনেক খুশি রয়েছে। উপজেলার
দলগাছা গ্রামের কৃষক মুনিরুজ্জামান জানান, এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তেমনি ধানের বাজারমূল্যও বেশ ভালো রয়েছে। এজন্য আমরা খুশি।