নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টায় যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের চৌদিঘী গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে আল-আমিন একই ইউনিয়নের কালিপাড়া গ্রামের এক মেয়ের দিকে কুনজর দেয়। তার কুনজর থেকে রক্ষা পেতে অভিভাবকরা মেয়েটিকে অপ্রাপ্ত থাকা সত্ত্বেও বাল্যবিবাহ দেয়। তারপরেও লম্পট আল-আমিন মেয়েটির পিছু ছাড়েনি। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে নানা ধরণের কুটকৌশল চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে মেয়েটির স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর মেয়েটি তার বাপের বাড়িতেই অবস্থান করে। গত ২৮ শে অক্টোবর দিবাগত রাতে আল-আমিন প্রাচীর টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে মেয়েটির ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তখন মেয়েটি আত্মচিৎকার শুরু করে। তার আত্মচিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে লম্পট আল-আমিনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর গ্রামের লোকজন তাকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। পরে ২৯ শে অক্টোবর মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। পরদিন পুলিশ তাকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।