নন্দীগ্রামে পুরোদমে চলছে বোরো ধানের চাষাবাদ

প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) থেকে নাজমুল হুদা : শস্যভাণ্ডার খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুরোদমে চলছে বোরো ধানের চাষাবাদ। যে কারণে কৃষকরা খুব ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছে। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ফসলি জমিতে উর্বরশক্তি বেশি থাকায় কৃষকরা বছরে ৩বার ধানের চাষাবাদের পাশাপাশি রবিশস্যর চাষাবাদ করে আসছে।
এবারো তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। বরং রবিশস্য চাষাবাদের পরিমাণ অনেকগুণ বেড়েছে। যে কারণে এ উপজেলার কৃষকরা আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হচ্ছে। যে যা বলুক না কেনো মূল কথা হচ্ছে এ উপজেলার কৃষকরা অন্যান্য উপজেলার কৃষকদের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। আগে প্রান্তিক কৃষকরা চাষাবাদ করতে অনেকটা হিমশিম খেতো। এখন আর চাষাবাদে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে না। এর কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রান্তিক কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ধান ও রবিশস্য চাষাবাদে বিনামূল্যে বীজ ও সার পাচ্ছে। যা বিগত সরকারের আমলে পায়নি। তাই নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা হাসিখুশিতে সবধরনের চাষাবাদ করে আসছে। বর্তমানে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ গ্রহণের পরিমাণ অনেকটা কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৩৫-৪০ ভাগ জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাদবাকি জমিতে এ মাসের মধ্যেই চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউর রহমান। তিনি আরো জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ধান ও রবিশস্যর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা বিভিন্নভাবে কৃষকদের সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।
উপজেলার দলগাছা গ্রামের আদর্শ কৃষক মুনিরুজ্জামান জানান, আমাদের এলাকায় বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ পুরোদমে চলছে। আমি নিজে প্রতিবছর ৩৫-৪০ বিঘা বা এর অধিক জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করি। এবারো ৩৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করেছি। নিজস্ব জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করতে সবমিলিয়ে ১২-১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। বোরো ধানের ফলন বেশি হলে এবং বাজার দর ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হয়।



error: Content is protected !!