নবীগঞ্জের আউশকান্দিতে ফিল্মি স্টাইলে প্রবাসীর স্ত্রীর লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ছিনতাই! জনমনে আতংক বিরাজ করছে
নবীগঞ্জ ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত আউশকান্দিতে দিনদুপুরে ফিল্মি স্টাইলে প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু সন্তানের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই! জনমনে আতংক সৃস্টি হয়েছে৷ এ ঘটনায় ওমান প্রবাসী নবীগঞ্জের দেবপাড়া ইউনিয়নের ছিট ফরিদপুর গ্রামের আব্দুল মোমিনের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী রুনা আক্তার-(২২), তিনি জানান, তার স্বামী দীর্ঘদিনধরে প্রবাসে অবস্থান করছেন, তার পাঠানো ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা গত ১৮ ডিসেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ১০টায় আউশকান্দি রূপালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে যান৷ ব্যাংক থেকেই তাকে ছিনতাইকারী চক্র তার পিছু নেয়, যাহা ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়৷ উল্লেখিত টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের সময় তিনি লক্ষ্য করেন,ব্যাংকের ঝাড়ুদার লক্ষীরানী নামের মহিলাকে ছিনতাই চক্রের এক সদস্য কিছু টাকা দেয়৷ যাহা সিসি ফুটেজে দেখা গেছে৷ তিনি এদিকে নজর না দিয়ে বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথিমধ্যে ছিট ফরিদপুর সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে আউশকান্দি বাজার থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্য সিএনজি অটোরিকশা যোগে রওয়ানা হন,পথিমধ্যে বেতাপুর মাজারের সামনে যাওয়া মাত্রই সিএনজি অটোরিকশাকে পথরোধ করে দু’টি মোটরসাইকেলে ৩ জন ছিনতাইকারী আরোহী অটোরিকশার সামনে যাওয়া মাত্রই সুচতুর তাৎক্ষণিক ৩জন ছিনতাইকারী প্ররাসীর স্ত্রীর সাথে থাকা তার ৪ বছরের শিশু বাচ্চার গলায রামদা ধরে মহিলাকে জিম্মি করে হ্যান্ড ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়,এতে নগদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা,একটি দামী মোবাইল ফোন যার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা সহ দুটি জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে বীরদর্পে চরে যায়৷ সিএনজিতে থাকা চালক- যাত্রী কেহই এর প্রতিবাদ করেননি৷ এ বিষয়ে সিএনজি চালক হাবিবুর রহমান ও গাড়ীতে থাকা যাত্রী মতিন মিয়া বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখে আমরা কোনো প্রতিবাদ করিনি,ঘটনাটি খুবই দুঃসাহসিক ও মর্মান্তিক৷ পরে গৃহবধূ এঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত নামা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ এরই প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ পুলিশ বলছে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ উল্লেখ্য: উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার তথা অত্র এলাকায় ইদানীং বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, মোটরসাইকেল চুরি, গাড়ীর ব্যাটারি চুরি সহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড৷ সচেতন নাগরিকদের জোরদাবী প্রশাসন যেন তড়িৎ পদক্ষেপে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করে অপরাধী চক্রকে আইনের আওতায় আনা হয়৷