নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হলে চমক দেখাবেন শহীদ পরিবারের সন্তান রাকিল হোসেন৷৷

প্রকাশিত: ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২১

এম.মুজিবুর রহমান, নবীগঞ্জ ( হবিগঞ্জ) থেকে : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হলে চমক দেখাবেন শহীদ পরিবারের সন্তান, তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাকিল হোসেন।

জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীক চেয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ইনাতগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাতা যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, সাবেক সাধারন সম্পাদক, সাবেক সভাপতি, যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান সাংবাদিক রাকিল হোসেন।

তিনি গতকাল নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর কাছে ফরম জমা দিয়েছেন।

এ ইউনিয়নে মোট ৫জন প্রার্থী নৌকা প্রতীক চেয়ে ফরম জমা দিলেও আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন রাকিল হোসেন। তিনি স্থানীয় প্রজাতপুর গ্রামের বাসিন্দা।

এ ব্যাপারে তাঁর কয়েকজন সমর্থকরা এর সাথে কথা হলে তারা বলেন, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে তিনি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে মাঠে-ময়দানে কাজ করে আসছেন। তিনি ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাতা যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি যুবলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

রাকিল হোসেন বর্তমানে ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তাছাড়া তিনি নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক সিলেটের ডাক, চ্যানেল এস ইউকে টিভি, জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতা ও দৈনিক প্রতিদিনের বানী পত্রিকার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, রাকিল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সন্তান। তার পিতা শহীদ সান উল্লা ছিলেন। ১৯৭১ সালে একজন মুক্তিযোদ্ধের সংঘটক ও ইউনিয়ন কাউন্সিলের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন। এবং তিনি পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক।

মহান স্বাধীনতা যোদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার অপরাধে ইনাতগঞ্জ এলাকার রাজাকার আলবদর আল সামসদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী সান উল্লাকে গুলি করে হত্যা করে।

সরেজমিনে ঐ এলাকার নানা পেশার মানুষের

সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আরো জানান, রাকিল হোসেন তিনি নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান। এমন কি তিনি অসহায় মানুষের বিপদে

আপদে এগিয়ে আসেন। তিনি তৃনমুল থেকে আসা একজন ক্লীন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তি। দলের সু সময়ে নয় দু: সময়ের দলের কান্ডারী। তিনি বিএনপি জামাত জোট সরকারের শাসনামলে মামলা হামলাসহ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। তিনি প্রার্থী হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের স্বার্থে সমাজসেবক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রাকিল হোসেনকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তার

আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিবেদিত প্রান।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রাকিল হোসেন বলেন, আমি আজীবন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে দলের কাজ করে আসছি। বিএনপি জামাত জোট সরকারের শাসনামলে নির্যাতিত হয়েছি। দলের দুর্দিনে ছিলাম, নি: স্বার্থভাবে এখনও আছি ভবিৎতেও থাকবো। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। পরবর্তীতে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ

নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাই। সেই আশা নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। আমি ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকে সাধারণ মানুষের কল্যাণে ও সুখ- দুঃখে কাজ করতে চাই।

আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে ইউনিয়নবাসী যেন আমাকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করেন। এবং উন্নয়নের ধারা গতিশীল করতে হলে নৌকা প্রতীকের বিকল্প নেই। আমি একজন শহীদ পরিবারের সন্তান হিসাবে আজীবন ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নবাসীর সেবা করে যেতে চাই। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে প্রতীক উপহার দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ দিবেন।




error: Content is protected !!