নবীগঞ্জের হুসেনপুরে মামলা তুলে নিতে বাদী সুহেলকে প্রভাবশালীদের হুমকি হামলা ও নির্যাতের অভিযোগ৷
স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের হুসেনপুর গ্রামে পিতৃ সম্পদ ফিরে পেতে
প্রভাবশালী চাচা ও তার লাটিয়াল বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত করে কোন সুফল না পেয়ে সুবিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন অসহায় এতিম ও ৫ সন্তানের জনক মৃত আরাফাত উল্লার পুত্র সুহেল মিয়া নামের ব্যক্তি ও তার পরিবার ৷ এঘটনার জেরধরে সুহেল ও তার পরিবারকে মোবাইল ফোনে সহ নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারই আপন চাচা প্রভাবশালী আঃ রউফ ও তার চাচাতো ভাইগন কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে হুমকির মুখে রয়েছেন সুহেল মিয়া একাধিকবার নির্যাতের শিকার হয়েছেন অসহায় সুহেল ও হামলা থেকে বাদ যাননি তার গর্ভবতী স্ত্রীও, সম্প্রতি তাকেও হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গনে ওই প্রভাবশালী আসামীরা মারপিট করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়৷ এঘটনায় অভযুক্তদের বিরুদ্ধে মামরা দায়ের হলে বিজ্ঞ জজকোর্টে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি, মামলা নং ১৭১/২০৷ নির্যাতনের শিকার সুহেল মিয়া বলেন তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তার সহায় সম্পদ,নগদ টাকা গ্রাস করেন তার চাচা আঃ রউফ৷ এনিয়ে চাচাতো ভাই মোহন মিযা,মনু মিয়া সহ তাদের লোকজন মরিযা হয়ে উঠেন কিভাবে সুহেলের সম্পদ লুটপাট করে সুহেলকে দেশ ছাড়া করা যায়৷ এনিয়ে গ্রামে একাধিকবার সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত বসলেও সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত অমান্য করে আসামীরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালায সুহেলের উপর৷ এতে সুহেল মিয়া নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১৫২/২০১৯, উক্ত মামলা দায়ের করলে তার উপর ক্ষেপে যান প্রভাবশালী চাচা ও তার লোকেরা৷ এতে আব্দুর রউফ তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে একাধিকবার প্রাণে হত্যার পরিকল্পনা ও হামলা করেন বলে অভিযোগ করেন,যাহা মুঠোফোনে ভয়েস রেকর্ডটি সাংবাদিকদের সম্মূকে শোনানো হয়,
তবে আল্লাহ পাক সহায় আছেন বলেই তিনি প্রভাবশালী লাটিয়াল বাহিনীর কবল থেকে বেঁচে আছেন বলে কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে নির্যাতনের নানা চিত্র, বিবরণ তোলে ধরেন,তিনি বলেন,গত ২৩ নভেম্বর সকাল অনুমান ৭টার দিকে সুহেল তার ফসলের মাঠে যাবার পথিমধ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার চাচা আঃ রউফ ও তার লোকজনকে নিয়ে সোহেলকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়ীর রাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে হামলা চালানো হয৷ এসময় সুহেলকে হাতুড়ে মারপিট, কিল ঘুষি মেরে মাটিতে পেলেও নির্যাতন করা হয়,এসময় আঃ রউফ মিয়া সুহেলকে একটি বেড়ার অর্ধ ফাটা বাঁশ মাটি থেকে তোলে নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি ওই বাঁশের ধারালো বেত (টলের) উল্টো আঘাতে একটি হাতের আঙ্গুল কেটে নিজে নিজেই আঘাত প্রাপ্ত হন বলে জানান সুহেল সহ স্থানীয়রা৷ এঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আবারো মিথ্যা বানোয়াট মামলার হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষের
মুরুব্বি লাক উদ্দীন,মাসুক মিয়া,সাহাব উদ্দীন, আলম উদ্দীন,আবদিন মিয়া ও এলাকার সচেতন মহলের আনকার মিয়া,হান্নান মিয়া,হাকিম উল্লাহ সহ আরো অনেকেই বলেন তাদের এই বিরোধ পূর্ণ বিষয়টি সমাধান করতে প্রানপণ চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি৷ তার চাচা আঃ রউফ সাহেব সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত ও আইনকানুনের যেন দ্বার ধারেন না, এতিম সুহেল ও তার পরিবারের উপর চলছে অমানবিক নির্যাতনের ষ্টিম রোলার৷ এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলন মিযা বলেন আমরা বারংবার চেষ্টা করেও সামাজিকভাবে বিষয়টি সুরাহা করতে পারিনি, তাই
এবিষয়ে এর বেশি বক্তব্য দিতে নারাজ তিনি৷
এদিকে নির্যাতনের শিকার সুহেল মিয়া প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন আমি একজন অসহায় দিন মজুর মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে এই প্রভাবশালী লাটিয়াল বাহিনীর কবল থেকে বাঁচতে চাই,তারা আমাকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা সহ এখনো প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন৷ এঘটনায় এলাকাজুড়ে নানা আলোচনা সমালোচনা বিরাজ করছে৷