অপরাধ ডেস্কঃ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আহমদ হোসেনের মরদেহ তার পরিবার গ্রামের বাড়িতে নেয়নি। পরে কারা কর্তৃপক্ষ সিলেট সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় মানিকপীর টিলা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করেছে।
বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল ও জেলার মুজিবুর রহমান।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মুজিবুর রহমান সিলেটভিউকে বলেন, ‘সামাজিকভাবে হেনস্থা হওয়ার ভয়ে আহমদ হোসেনের পরিবার তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিতে চায়নি। তারা লাশ দাফনে আমাদের সাহায্য চায়। গতকাল বুধবার লাশ দাফনের সময় পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই লাশ দাফন করা হয়েছে।’
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল সিলেটভিউকে বলেন, ‘আহমদ হোসেনের লাশ দাফনের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা নেওয়া হয়। তাদের সহযোগিতায় গতকাল মানিকপীর টিলায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।’
কারা সূত্রে জানা গেছে, আহমদ হোসেন (৫৫) কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ঘড়াই গ্রামের বাসিন্দা। একটি হত্যা মামলায় গত ৫ মার্চ তিনি কারাগারে যান। এরপর গত ৮ মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাঠানো হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহমদ হোসেনের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকায় তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত ৯ মে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়, ১১ মে ফলাফলে পজিটিভ আসে। কিন্তু এর আগেই গত ১০ মে তিনি মারা যান। পরে তার মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
এদিকে, ওই হাজতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় তিনি কারাগারে যে ওয়ার্ডে ছিলেন, সে ওয়ার্ডের ৮৩ হাজতিকে লকডাউনে রাখা হয়েছে। এছাড়া কারাগারের ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।