এ জি মুন্না- নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীতে ব্যাটারি চালিত অটো রিকসা চালক জিয়াউর রহমান হত্যায় জড়িত ছিলেন পাঁচজন। এদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।
শনিবার (২০জুন)দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার(১৮জুন) রাত সাড়ে দশটার দিকে তিস্তা সেচ ক্যানেলের পরিদর্শন সড়কের বাহালিপাড়া নামক স্থানে ছিনতাইকারীরা অটো চালক জিয়াউর রহমানকে ছুরিকাঘাত করলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমান সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের ভরতপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর তাৎক্ষনিক ভাবে প্রতিটি চেকপোস্টকে সতর্ক করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় সবখানে। ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশের আটটি ইউনিটের সহায়তায় টিম হিসেবে কাজ শুরু করা হয় রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারে।
এ ঘটনায় ফজলে রাব্বি নামে একজনকে জলঢাকা পাঠানপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ফজলে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা মাষ্টারপাড়া এলাকার মাজু মিয়ার ছেলে।
ফজলের জানায়, সেসহ আরো চারজন টেঙ্গনমারী বাজারে একত্রিত হয়ে আনন্দবাবুর পুল থেকে হরিশচন্দ্র পাঠ যাওয়ার জন্য তিন’শ টাকায় জিয়ার অটোরিকসা ভাড়া করে। পথিমধ্যে তারা এই ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহজালাল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন নীলফামারী থানায়।