মো.সাগর আলী, নীলফামারী: নীলফামারী সদর উপজেলা ইটাখোলা ইউনিয়নে জলবায়ু সহনশীল বিনা-১৭ ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা ইটাখোলা (মেকরটারী) এলাকার কৃষকদের নিয়ে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
ইটাখোলা মেকরটারী গ্রামের কৃষক মো. আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও কৃষি অফিসার(আরডিআরএস) কৃষিবিদ মো: মোহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার (আরডিআরএস) মো.হামিদুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার শাহিন ফেরদৌস, ফিল্ড ফেসিলিটর (আরডিআরএস) মো. আকবর হোসেন, আরডিআরএস ইটাখোলা ইউনিয়ন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সন্তষ কুমার ঋষি।
প্রধান অতিথি সদর উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার (আরডিআরএস) মো.হামিদুল হক বলেন,
বিনা ধান-১৭ আগাম পাকে লাভ অনেক। ধান গাছের প্রতিটি শিষ পুষ্ট দানার সংখ্যা ২৫০ থেকে ২৭০টি। প্রচলিত জাতের তুলনায় ইউরিয়া সার ৩০ শতাংশ কম এবং জমিতে ৪০ শতাংশ পানি কম লাগে। এ কারণে ‘গ্রনি সুপার রাইস’ হিসেবেও জাতটির নামকরণ হয়েছে।
উচ্চ ফলনশীল, স্বল্প মেয়াদি খরাসহিষ্ণু, আলোক সংবদেনশীল ও উন্নত গুণাগুণের বিনা ধান-১৭ আবাদে কৃষি খাতে বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবষেণা ইনস্টটিউিটের (বিনা) বিজ্ঞানীরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ জাত আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এখন সারা দেশে জাতটি ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উদ্ভাবিত এ জাতের ধানগাছ খাটো ও শক্ত বলে হেলে পড়ে না। র্পূণবয়স্ক গাছের উচ্চতা ৯৬ থেকে ৯৮ সেন্টিমিটার। পাতা গাঢ় সবুজ ও খাড়া। ধান আগাম পেকে যাওয়ায় কাটার পর জমিতে সহজেই আলু, গম বা রবিশস্য চাষ করা যায়।
বিনা ধান-১৭ উজ্জ্বল রঙের। ধান ও চাল লম্বা এবং চিকন, খেতে সুস্বাদু। এ কারণে বাজারমূল্য বেশি ও বিদেশে রপ্তানির উপযোগী। চালে অ্যামাইলোজের পরমিাণ ২৪.৬ শতাংশ এবং হেক্টরপ্রতি ৬.৮ টন থেকে র্সবোচ্চ আট টন র্পযন্ত ফলন হয়।
এ ধানের চাল রান্নার পর ভাত ঝরঝরে হয় এবং র্দীঘক্ষণ রাখলেও নষ্ট হয় না। ধানের এই জাতটি পাতা পোড়া, খোল পচা ও কাণ্ড পচা ইত্যাদি রোগ তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিরোধ করতে পারে। এ ছাড়া প্রায় সব ধরনের পোকার আক্রমণ, বিশেষ করে বাদামি গাছফড়িং, গলমাছি ও পামরি পোকার আক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক বেশি।