নীলফামারীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২২
মো. সাগর আলী, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে কবুতর নিয়ে ঝগড়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইজনকে চেইন দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা বড়বাড়ী গ্রামে। ওই এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে ভুক্তভোগী হৃদয় ইসলাম ও সোহেল ইসলামকে কবুতর নিয়ে ঝগড়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার আইজুল ইসলাম (৫০), তার ছেলে মো. তাজমুল ইসলাম (২৫), আইজুলের ভাই হামিদুল ইসলাম সহ তাদের পরিবারের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,‘অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীদের মধ্যে কবুতরকে খাবার দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী হৃদয় ও সোহেলের ভাতিজা সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আহসান হাবিব কে কবুতর চুরি করার অপবাদ দিয়ে তাদের পরিবারকে নানাভাবে গালি গালাজ করছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে  তাদের মধ্যে বাক বিতন্ড চলছে। ঘটনার এক পর্যায়ে গত ৪ অক্টোবর ভুক্তভোগী হৃদয় ইসলাম ও সোহেল ইসলাম রাতে শহর থেকে বাসায় ফেরার পথে অভিযুক্তরা সাইকেলের চেইন দিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।’
ওই এলাকার আমির আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম (৫৫) বলেন, ‘নামায পড়া অবস্থায় হঠাৎ করি শুন্নু কে জানি বাইরে চিল্লায়ছে। বাইরোত বের হয়ে দেখো হৃদয় আর সোহেলকে চেইন দিয়ে মারেছে তাজমুল আর ওর বাপ চাচারা। ওমার চিৎকারে সবায় বের হয়া আসি ওমাক থামে হৃদয় আর সোহেলকে হাসপাতালে নিয়া যায়।’
ওই এলাকার বাবুল হোসেন বলেন,‘তাদের মধ্যে কবুতর খাবার দেওয়া নিয়ে ঝগড়া। শুনেছি তাজমুলরা নাকি হৃদয় ও সোহেলের ভাতিজা আহসান হাবিব কে কবুতর চুরি করার অপবাদ দিয়ে তাকে নাকি  মারে। এরপর থেকে হাবিবের বাবা সহ তার চাচারা বিষয়টি বারাবারি না করার জন্য বলে। এরই মধ্যে সেদিন রাতে তাদের নাকি চেইন দিয়ে মারফে তাজমুলরা ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।’
নীলফামারী সদর থানা সূত্রে জানা যায়, এঘটনাকে কেন্দ্র করে উল্টো অভিযুক্তরাই ভুক্তভোগীদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। কিন্তু যাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তারা ছিলেনই না ঘটনাস্থলে। কথা হয় মোজাম্মেল হকের ছেলে ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আহসান হাবিবে বাবা শাখাওয়াত হোসেনের সাথে। তিনি বলেন,‘আমি ডিমলা উপজেলা পিআইও অফিসে নৈশ্য প্রহরী হিসেবে কাজ করি। ঘটনার দিন আমি ডিমলায় ছিলাম ডিউটিতে। তারা আমার ভাইদের মেরে উল্টো আমাদের নামেই অভিযোগ দিয়েছে আমি নাকি তাদের মেরেছি। আমি যদি ঘটনাস্থলেই না থাকি তাহলে মারবো কিভাবে?’
তিনি আরো বলেন,‘আমার ছেলেকে তারা চোর অপবাদ দিয়ে মারলো। প্রতিবেশী দেখে তবুও আমি তাদের কিছু বললাম না। কিন্তু উল্টো তারা আমাদের মেরে আবার আমাদের নামেই অভিযোগ দিচ্ছে ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
শাখাওয়াত হোসেনের ভাই নীলফামারী সদর পিআইও অফিসের আউটসোর্সিং এর কর্মরত অফিস সহায়ক লিয়াকত আলী জানান, ‘ওই সময় আমি বাড়ীতে ছিলাম না। কাজে বাইরে ছিলাম। আমার নামেও নাকি অভিযোগ দিয়েছে। তারা আমার দুইভাই কে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো। এইটা আমি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযুক্ত অন্যান্য কারো দেখা না মিললে কথা হয় অভিযুক্ত তাজমুলের সাথে কথা তিনি বলেন,‘ওরাও আমাদের মেরেছে। আমিও তাদের চেইন দিয়ে মেরেছি।
জানতে চাইলে ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ্ ফকির বলেন,‘মারামারির ঘটনাটি শুনেছি। লিয়াকত এ নিয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে। শুনলাম অভিযুক্তরা নাকি থানায় অভিযোগ দিয়েছে।




error: Content is protected !!