এ জি মুন্না, নীলফামারীঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিজের স্ত্রী ভেবে অন্যের স্ত্রীকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ জুন) উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার (১২ জুন) ওই ইউনিয়নের পানিশাল এলাকার নুর মোহাম্মাদের পুত্রবধূ ফারজানার (১৯) স্বামী শাহীনের সঙ্গে ঝগড়া করে দুপুরে ভ্যানে একই ইউনিয়নের ডাঙ্গি এলাকায় বাপের বাড়ি যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর শাহিন (২২) ও তার চাচাতো ভাই মেরাজুল ওরফে বাবু মোটর সাইকেলে হামুরহাট এলাকায় ভ্যানটি থামায়। মোটর সাইকেল থেকে নেমেই ভ্যানের সামনে বসা ওই এলাকার পাইকারপাড়ার তছিম উদ্দিন ওরফে ভীমের মেয়ে দুই সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম তছোকে (৩৮) নিজের স্ত্রী ভেবে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে থাকে। নির্যাতিতা তছো মুখের পর্দা সরালে শাহীন তখন দেখতে পায় ওটা তার স্ত্রী নয়। পরে নিশ্চিত হওয়ার পর তার সাত মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ফারজানাকেও মারধর করে। ভ্যানচালক সাঈদুল প্রতিবাদ করলে তাকেও মারতে উদ্যত হয় তারা।
পরে ওই ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করে শাহীন ও বাবু। কিন্তু নাকের ফুল ও বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তাসলিমা বেগম তছো ও তার স্বামী মোহাম্মদ আলী।
নির্যাতিতা তাসলিমা বেগম তছো বলেন, আমি স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিলাম। শাহীনের অতর্কিত চড়-থাপ্পড় এবং কিল-ঘুষিতে আমি হতবাক। বর্তমানে অসুস্থতা বোধ করছি। বাপের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহীনের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার পর শাহীনের গর্ভবতী স্ত্রী ফারজানা বাপের বাড়িতে চলে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, শাহীনের সাথে ফারজানার বিয়ে হয় ১০ মাস আগে। এরই মধ্যে কয়েকবার দাম্পত্য কলহের জেরে মারধর ও স্বামীর বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার লোক পাঠিয়ে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।
জানা যায়, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ জুন) গ্রাম আদালতে শালিস বসার কথা রয়েছে