নীলফামারীতে ফেন্সি ডেন্টাল হোমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ প্রমানিত
মো. সাগর আলী, নীলফামারীঃ বিস্তর অভিযোগ নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় “ফেন্সি ডেন্টাল হোম” এর বিরুদ্ধে। রোগীদের সাথে প্রতারণার এক মহাফাদ পেতে বসেছেন দন্ত চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে ১৭বছরের অভিজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দেয়া ওমর ফারক। দালাল দিয়ে রোগী ভাগিয়ে আনা ওমর ফারুকের যোগ্যতা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, তিনি যে সব যোগ্যতা কথা তার লিফলেটে ও সাইনবোর্ডে ব্যবহার করেছেন তার মধ্যে রয়েছে বিস্তর গরমিল। তিনি রংপুর ডেন্টাল কলেজ (ডেন্টাল ইউনিট) থেকে ১৭বছরের অভিজ্ঞ মুখ ও দন্ত চিকিৎসক বলে তার প্রচারপত্রে দাবী করলেও রংপুরে ঐ নামে কোন ডেন্টাল কলেজের অস্তিতই নেই। ডোমার শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থিত “ফেন্সি ডেন্টাল হোম” ক্লিনিক খুলে তিনি রিতিমতো রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার মহাফাঁদ পেতে বসেছেন। সূত্র জানায়, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে ও তা উঠে এসেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তপন কুমার রায় তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ঐ চিকিৎসক তার ১৭ বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলেলেও তার সপক্ষে কোন সনদ দেখাতে পারেনি। তার ক্লিনিকে অব্যবহ্নত ডেন্টাল সামগ্রী পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ডাঃ ওমর ফারুক ডেন্টিস্ট না হয়েও চিকিৎসাপত্র দেয়ারও প্রমান পায় তদন্ত কমিটি। এছাড়া তার বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন না থাকা সত্বেও তিনি ডেন্টিস্ট হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন এবং তার সার্টিফিকেট অনুয়ায়ী তিনি একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট মাত্র। এতকিছুর পরেও তিনি কিভাবে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘ দিন ধরে তার এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।
অভিযোগের বিষয়ে উমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে মিথ্যা হয়রানি করার জন্য এ অভিযোগ করেছে।
সির্ভিল সার্জন ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, প্রতিবেদন পেয়েছি অতিশীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।