নীলফামারীতে ৮ হাজার পরিবার পানি বন্দি

প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০

এ জি মুন্না- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
আকাশের টানা বৃষ্টি আর পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা বাধের সকল গেট খুলে দেওয়া এবং উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢল আর গত দু-দিনের ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারী ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাট, ফলে তিস্তা নদীর পাশ্ববর্তী গ্রামগুলো ডুবতে শুরু করেছে।

ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার পরিবারের মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছে।

ডিমলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখরি বাড়ি, টেপাখড়ি বাড়ী, খালিশা চাপানী এবং ঝুনা চাপানী। টেপাখড়ি বাড়ি ও পূর্ব ছাতনাইয়ের অনেক চরান্চল বিলীন হয়ে গেছে। এবিষয়ে পূর্ব ছাতনাই কলোনির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ খান বলেন,” প্রায় বিশ বছর পর, আবার বর্ষাকাল যেন ফিরে এসেছে, ঝাড়সিংস্বর মৌজার অনেক চরান্চল বিলীনের পথে, মানুষ আতংকের মধ্যে রাত্রি যাপন করছে। সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, আরও দেওয়া হবে”। পূর্ব ছাতনাই কলোনির আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার সরকার বলেন, ঝাড়সিংশ্বর মৌজার প্রায় অংশ প্লাবিত হয়েছে। জলবন্দী পরিবার প্রতি কয়েক দিন আগে আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি মহোদয় ২০ কেজি করে চাউল দিয়ছেন।

জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, কইমারী, শোলমারী বন্যার পানিতে ডুবে আছে কয়েক টি গ্রামের প্রায় ৩হাজার পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, আজ শনিবার সকাল ৬টার থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারী ডালিয়া পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় তিস্তা নদীর পানির বৃদ্ধির কারণে আতংকিত তিস্তা পাড়ের ৮হাজার পরিবারের মানুষ। তিনি আরও বলেন, ” আমরা সর্বক্ষণ সতর্কতার সঙ্গে আছি, মানুষের মাঝে বন্যার পূর্বাভাস হিসেবে মাইকিং ব্যাবস্থা করছি “।




error: Content is protected !!