এ জি মুন্না- নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী ডালিয়া তিস্তা ব্রিজের ৪৪টি গেটের মধ্যে ৮ টি গেটের হৃদপিন্ড বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার কারনে গেটের উজান ও ভাটিতে বালুর চর বেঁধেছে।
বুধবার (১৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি গেটের মধ্যে ৮টি গেটে উজান ও ভাটিতে বালুর চর বেঁধেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৫ জুন থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান থেকে ঢলে আসা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নীলফামারীর দুটি উপজেলার প্রায় ১০টি ইউনিয়ন। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়েছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেকর্ড অনুযায়ী তিস্তা নদীতে বিপদ সীমার ৩৩ থেকে ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। প্রতিনিয়তই পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজটি নিয়ে অনেকটাই সঙ্কার মধ্যে ছিল কর্তৃপক্ষ। তাই দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেডএলার্ট জারি করেছিল ডালিয়া পাউবো।
নাম না বলা শর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বালু নিস্কাশনের ৮টি আন্ডার গ্রাউন্ড গেট রয়েছে ব্রীজের ২৬ ফুট নিচে, আন্ডার গ্রাউন্ড গেট তলপেট ভরে মুখ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ৪৪টি গেটের মধ্যে ৮ টি গেটের উজান ও ভাটিতে বালুর চর বেঁধেছে। গত বছরে এই গেট গুলো সংস্কার করার কথা থাকলেও উর্দ্ধতন কর্মকর্তার গাফলতির কারনে সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে বন্যায় ব্রীজটি পড়েছিলো ঝুকির মধ্যে। এছাড়াও তিস্তা ক্যানেলের ০৮টি গেটও সঙ্কার মধ্যে পড়েছে।
তিস্তা ব্যারেজের এক কর্মকর্তা নাম গোপন করে আভিযোগ করে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে এখনে চাকরি করি, তিস্তা ব্রিজের ৮টি গেটে বালুর চর বাধার প্রধান কারন উদ্ধতন কর্মকর্তার গফলতি রয়েছে।
ব্রীজের গেটম্যানের সাথে এ বিষয় কথা বলতে চাইলে তিনি কথার উওর না দিয়ে এড়িয়ে চলে যায়। গেটম্যানের হেলপার লোকমান আলী বলেন, এসব বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারবো না।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) শামচ্ছুদ্দোহা মুঠো ফোনে বলেন, আমরা ৪৪টি গেটেই মে মাসে খুলে দিয়েছি। কি কারণে বালু জমাট হয়েছে বলতে পারবো না, তবে নদীর পানি কমলে বালু গুলো সরানোর ব্যবস্থা আমরা করবো।