নেই সাব-রেজিস্ট্রার ভোগান্তিতে হাটহাজারীবাসী

প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২০

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারীঃ
দেশের রাজস্ব খাতের মধ্য সাব-রেজিস্ট্রার অফিস অন্যতম। জমি হাতবদল হলেই সরকারি খাতায় জমা হয় দৈনিক লাখ থেকে কোটি টাকা। কিন্তু স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকলে থমকে যায় জমির হাতবদল আর সরকার বঞ্চিত হয় কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে।আর ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষসহ দলিল লেখক ও অফিস স্টাফরা।
হাটহাজারী সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দীর্ঘ ১৯মাস ধরে স্থায়ী কোন সাব রেজিস্ট্রার নেই। ফতেয়াবাদ কিংবা পার্শ্ববর্তী উপজেলা অফিস থেকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে সপ্তাহে দুদিন অফিস করার কথা থাকলেও ব্যস্ততা অসুস্থতা কিংবা কোন কারণে তাও অনিয়মিত। ফলে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। নিয়মিত সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় যথাসময়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে না পারায় অনেকে বিপাকে পড়ে যান। জরুরী ভিত্তিতে অনেকে জমির হাতবদল করতে চাইলেও দীর্ঘায়িত হয় রেজিস্ট্রির কাজ।
সরেজমিনে অফিস স্টাফ দলিল লেখকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯সালের ২৩জুলাই সাব রেজিস্ট্রার আবু তালেব বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলে কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় দলিল লেখকদের দাবির প্রেক্ষিতে কখনও ফতেয়াবাদ কখনও সীতাকুন্ড জোরারগঞ্জ কখনওবা ফটিকছড়ি নানুপুর এলাকার সাব রেজিস্ট্রার
সপ্তাহে দুদিনের বাড়তি দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে জমে যায় অসংখ্য কমিশন দলিল। সরকারও বঞ্চিত হয় কোটি টাকা রাজস্ব থেকে। গত জুন মাসে মাত্র ৬দিনে ৭৮লাখ টাকা জমা হয় রাজস্ব খাতে। যদি নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার থাকত তাহলে কয়েক কোটি টাকা জমা পড়ত সরকারি রাজস্ব খাতে। কিন্তু না থাকায় তা সম্ভবপর হয়নি। এদিকে এতদিন ফতেয়াবাদ অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার সপ্তাহে দুদিন বাড়তি দায়িত্ব পালন করলেও ৯আগষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর পারবেন না। শারীরিকভাবে অসুস্থ।
এ বিষয়ে কথা বলতে চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রারের মুঠোফোনে বার বার কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, জনবল সংকটের কারনে এমনটি হয়ে থাকে। সরকার চাইলেও সময়মত দিতে পারেনা। সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য আপনারা বিভাগীয় পর্যায়ে বিষয়টি জানান।




error: Content is protected !!