নেতা আটক হওয়ায় ক্ষুদ্ধ দালালচক্র ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহা অপরাধীদের বিষফোঁড়া

প্রকাশিত: ১২:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২০

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি 

কক্সবাজার উখিয়ার ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ

সাধারণ জনগণের কাছে সেবাদানকারী হলেও

মানবপাচারকারী ও ইয়াবা সিন্ডিকেটের কাছে

বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইয়াবার চালান

খালাস, বিকিকিনি ও মানবপাচার করার সুযােগ

পেয়ে ইনানী ফাড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহার

বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে সিন্ডিকেট সদস্যরা।

কতিপয় পাতি নেতা ও গঠিত সিন্ডিকেট ওই

ইনচার্জকে সরাতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযােগও

দিয়েছে। সম্প্রতি দশ হাজার পিস ইয়াবার

চালানসহ কমিনিউটি পুলিশিংয়ের ইউনিয়ন

নেতা ও জালিয়াপালং ইউপি সদস্য মাে. মুছাকে

গ্রেপ্তার করে ইনানী পুলিশ। ওই মেম্বারের

বসতঘরে তল্লাশি করে পুলিশ ইয়াবার চালানটি

জব্দ ও মুছা মেম্বারসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার

করেছে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

(উখিয়া সার্কেল), উখিয়া থানার ওসি, ইউপি

চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীসহ স্থানীয়

গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে

৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি শাহ-

জাহানকে অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

করেন ফাঁড়ি ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহা। এতে ক্ষিপ্ত

হয়ে উঠে ইয়াবা সিন্ডিকেট। স্থানীয়রা বলেন,

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সিদ্ধার্থ সাহা

দায়িত্ব নেয়ার পর সাগর পথে মানবপাচার প্রায়

বন্ধ হয়ে গেছে । থমকে গেছে মাদক তথা

ইয়াবা কারবারিরা। পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে

কটেজে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত নারী

পুরুষ ও জুয়াড়িদের ধরে পাঠিয়েছে কারাগারে।

দালালের খপ্পরে পড়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া

যেতে আসা বহু রােহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ফেরত

পাঠিয়েছে নিজ নিজ আশ্রয় ক্যাম্পে। তিনি

পুলিশের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্থানীয়

বিদ্যালয় থেকে ছুটির পর ৫-৭ বছরের শিশুদের

ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ফাঁড়ির জায়গা জবরদখলমুক্ত করে বাউন্ডারিসহ

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে যাতায়াতকারী যাত্রীদের

জন্য নির্মাণ করেছেন গণশৌচাগার। কিছুদিন

ধরে ইনানী ঘাট দিয়ে সমুদ্র পথে রােহিঙ্গাদের

মালয়েশিয়া পাচার করতে পারছে না স্থানীয়।

চিহ্নিত দালালরা। মানবপাচারের ঘাট খ্যাত।

সােনারপাড়া, ইনানী ও নিদানীয়া ঘাট বন্ধ

রয়েছে। পুলিশের হাতে বারবার ইয়াবার চালান

জব্দ হচ্ছে দেখে সিন্ডিকেট সদস্যরা সিদ্ধার্থ।

সাহাকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানান স্থানীয়রা। একাধিক সূত্রে জানা যায়,

স্থানীয় আওয়ামী লীগের ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কতিপয় পাতি নেতা ক্ষমতা দেখিয়ে

ইয়াবা, মানবপাচার ও অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ

থেকে ইতােপূর্বে বখরা নিতেন। ইনানী ফাড়ির

পুলিশের তৎপরতার কারণে তাদের ওই রােজ-

গার বন্ধ হয়ে গেছে। মাদক কারবারিদের কোন

ধরনের ছাড় নয় জানিয়ে আইসি সিদ্ধার্থ সাহা।

বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গেলে

কারও স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। এতে

কতিপয় অপরাধী নাখােশ হলেও ইনানীকে

অপরাধমুক্ত করে সাধারণ জনগণের সেবা করে

যাচ্ছে পুলিশ। জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমীন বলেন। ৫৮ হাজার মানুষকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সিদ্ধার্থ সাহা জোরদার করেছেন। কতিপয় অসাধু ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলে ব্যার্থ হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।  আমি প্রশাসনের উর্ধোতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে এসব দুষ্কৃতকারীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে আরজি জানাচ্ছি। 




error: Content is protected !!