নোয়াখালীতে খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৭

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২১

মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর একটি এতিমখানা ও নূরানী মাদ্রাসায় রাতের খাবার খেয়ে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও ১৭ শিক্ষার্থী। অসুস্থ এসব শিক্ষার্থীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।সোমবার (২ আগস্ট) রাত পৌনে নয়টার দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ৭নং একলাশপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা কমপ্লেক্স ওই ঘটনা ঘটে। নিহত নিশান নুর হাদী (৯) উপজেলার ৭নং একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে। সে মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার নূরানী বিভাগের প্রথম ছাত্র ছিল।
মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার সুপারিনটেন্ড ইসমাইল হোসেন জানান, সোমবার দুপুরের দিকে মাদ্রাসায় মাংস রান্না করা হয়। এরপর একই দিন এশার নামাজের পরে মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগের ২০ জন ছাত্র ওই মাংস দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়।
এক পর্যায়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ১৮ জন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাই পেটে ব্যথা অনুভব করে ও বমি করতে থাকে। এ সময় মাদ্রাসার একজন আবাসিক শিক্ষক বিষয়টি অবহিত করে এবং একজন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে মাদ্রাসায় ডেকে আনেন। পরবর্তীতে পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে অসুস্থ ১৮ জন ছাত্রকে কয়েক ধাপে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার মোট শিক্ষার্থী ১২০ জন। প্রথম ধাপে ১৮ জন রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই খাবার আর কেউ খায়নি। এ মাদ্রাসায় মোট ৭০ জন শিক্ষার্থী দৈনিক খাবার খায়। অসুস্থদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানায়, মাংসে একটু গন্ধ ছিল। অসুস্থদের মধ্যে নিশান মাদ্রাসাতেই মারা যায়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়া (ফুড পয়জনিং) এর কারণে রাতের খাবার খেয়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদের মধ্যে নিশান নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া আরও ১৭ জন মাদ্রাসা ছাত্র অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। খাবারের সাথে কোনো বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে বাকী খাবার জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




error: Content is protected !!